জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নাশকতাসহ মোট ৩৭টি মামলা হয়। এরমধ্যে ১৩টি মামলা হয় বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। আর ২৪টি মামলা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে।
তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একে একে সব মামলা থেকেই মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাসের রায় বহাল থাকে আপিলেও।
আপিলের এ আদেশের পরে দুদক আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতার কোনো অপব্যবহার করেননি।
আর বেগম জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আমিনুল ইসলাম এবং বদরুদ্দোজা বাদল জানান, অতীতে বেগম জিয়ার মামলার ফাইলে যে বিচারক হাত দিয়েছেন, সেই পুরস্কৃত হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর হলেও ন্যায় বিচার পাওয়ায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন তারা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বেগম জিয়া ছাড়াও এ মামলায় সাজা হওয়া অন্য দুজনকেও খালাস দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিশেষ জজ আদালত।