বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে যে ‘উত্তাল তরঙ্গ’ সৃষ্টি হবে, তাতে সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাণীসংকৈলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা যায় না; জনগণ যখন জেগে ওঠে, তখন তাদের সামনে কোনো শক্তিই টিকতে পারে না। আওয়ামী লীগের পতন ও হাসিনার পালিয়ে যাওয়া তার প্রমাণ।
আসন্ন নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে বিলম্বিত না করতে আন্দোলন করা দলগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনের পর সংসদেই পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) নিয়ে সিদ্ধান্ত হোক।
‘নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি দল অবাস্তব দাবি তুলছে। কিন্তু জনগণ এটি বোঝে না। মানুষ এক ব্যক্তি এক ভোট–এই গণতন্ত্রেই বিশ্বাসী’, যোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিএনপির যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, তাদের অবশ্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপি সরকার গঠন করলে অর্থনীতিকে চাঙা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি পরীক্ষিত দল। সংস্কারের মাধ্যমেই এই দলের জন্ম। আমরা সরকারে গেলে মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পিআর না হলে কেউ কেউ সনদে স্বাক্ষর না করার কথা বলছেন, তবে বিএনপির প্রস্তাবগুলো লিপিবদ্ধ হলে আমরা অবশ্যই স্বাক্ষর করব। বিএনপি শুরু থেকেই ইতিবাচক অবস্থানে আছে।’
সভা শেষে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।