Bangladesh Muslim League staged a human chain in front of National Press Club on Wednesday.
‘ভারতীয় দালাল ফ্যাসিবাদীদের দ্রুত বিচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানিয়ে’ আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বেলা ১১.০০টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে, দলীয় সহ-সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বলেন, দেশ রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে এক চরম সংকট কাল অতিক্রম করছে। জুলাই ২৪’ ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মুখে পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্র কাঠামো, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন সহ গোটা দেশ লণ্ড-ভণ্ড করে ভারত পালিয়ে গেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মত আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সম্মানিত মানুষও অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে গলদঘর্ম হচ্ছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার চেষ্টা ও আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও তার সহকারী অনেকেরই সক্ষমতা ও ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। কিছু রাজনৈতিক দলের দ্রুত ক্ষমতায় আরোহণের পিপাসায় জুলাই বিপ্লবের চেতনা পরিপূর্ণতা পায়নি, মসনদের মোহে আমরা বিভক্ত হয়ে পড়ছি। “ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড, ডিভাইডেড উই ফল”-আমাদের বুনিয়াদী স্বাধীনতা ১৯৪৭এর আজাদি আন্দোলনের প্রধান নেতা মো. আলী জিন্নাহর উক্তিটি সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই ২৪’ গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যে কোন মূল্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে, নাহয় আবারও ভারতীয় আগ্রাসন আমাদের চূড়ান্ত ভাবে গ্রাস করবে, হুমকির মুখে ফেলে দেবে দেশের পতাকা ও মানচিত্রকে। এ লক্ষ্যে সরকার, প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকদের ভিড়ে ঘাপটি মেরে থাকা ভারতীয় দালাল ফ্যাসিবাদী চক্রকে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদীদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দেশকে ক্রমশ অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঢিলেঢালা ভাবে দায়িত্ব পালন জনিত কারণে ছিনতাই, চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি বৃদ্ধির মত ঘটনা, সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আইন - শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের আত্মমর্যাদা সহ বেঁচে থাকার সুব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে এক চরম নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে, যা কারো কাম্য নয়। ফ্যাসিবাদীদের দ্রুত বিচার ও জুলাই২৪’ গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্যই ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবেলার মোক্ষম হাতিয়ার বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, ধর্ম সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, সাহিত্য সম্পাদক মো. মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা জহিরউদ্দিন মাহমুদ বাবর, মো. মাকসুদুর রহমান, তাজুল ইসলাম তাজু, রুবেল শিকদার, মো. মনিরুল ইসলাম, যুব মুসলিম লীগ আহ্বায়ক মো. আলী জিন্নাহ মানিক ও সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম জাবেদ, উল্লাপাড়া মুসলিম লীগ আহ্বায়ক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি