ঈদ সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে টাকা তোলার চাপ। এর জেরে কলমানি মার্কেটে গড় সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির গতি বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকার সরবরাহ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
উৎসবকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয় ব্যবসা-বাণিজ্য। বাড়ে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক লেনদেন। চাহিদা বাড়ে নগদ টাকার। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংকমুখী গ্রাহকদের ভিড়। প্রয়োজনমতো টাকা তুলতে পারা নিয়ে তাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
গ্রাহকরা বলছেন, কিছু ব্যাংক চাহিদামতো টাকা দিতে পারলেও, বেশকিছু ব্যাংক পারছে না। তবে পরিস্থিতি কয়েকমাস আগের তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে শুধু বড় গ্রাহকদের দিকে নজর না দিয়ে অর্থনীতি সচল রাখতে ছোট গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা মেটানোর ওপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যাংকগুলোকে বিশেষ শ্রেণির গ্রাহককে সুবিধা দেয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে ছোট গ্রাহকদেরও।
রুগ্ণ ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা তোলার সুযোগ করে দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, রুগ্ণ ব্যাংকগুলো থেকেও যাতে গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারে, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে হবে।
টাকা তোলার চাপ সামাল দিতে ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে স্বল্প সময়ের জন্য টাকা ধার করে। কলমানি মার্কেট নামে পরিচিত এই ব্যবস্থায় এখন সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।