News update
  • Tarique Vows to Return, be With People During Polls     |     
  • Exports Dip 4.5pc in September Amid US Tariff Impact     |     
  • Hamas calls for swift hostage-prisoner swap as talks set to begin     |     
  • Leadership vacuum cripples primary education in Sonargaon     |     
  • Tornado destroys over 500 houses in Nilphamari, injures 30     |     

তিস্তার আগ্রাসী রূপে পানিবন্দি হাজারো মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-10-06, 3:13pm

gterteryty-599c878b0867a5d0c768f7b0e18f57f41759742007.jpg




তীব্র স্রোতে আবারও আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে তিস্তা নদী। এতে নদীপাড়ের হাজারো মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকার কাঁচা-পাকা রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে পানি, আর নিচু এলাকাগুলো বুকসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। গতরাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন এসব এলাকার মানুষ। রাতের অন্ধকারে স্পার বাঁধসহ উঁচু জায়গায় গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

পানিবন্দি মানুষের অভিযোগ তারা এখনো পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার পাঁচ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে উজানে থাকা ফ্লাড বাইপাস, ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। নদী এলাকার কাঁচা-পাকা সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যে কোনো সময় এসব রাস্তা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তীব্র স্রোতে এখনো পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নিচু এলাকায় বুকসমান পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়ি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বাড়তে থাকায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন এসব মানুষ। রাতের অন্ধকারে স্পার বাঁধসহ উঁচু এলাকায় গবাদিপশু ও পাখি নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও, ভাটিতে এখনো পানির চাপ বাড়ছে। গতরাতে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পানি ভাটির লোকালয়ে প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত করছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল রাতেই প্লাবিত হয়েছে। এখানকার মানুষজন স্পার বাঁধসহ উঁচু এলাকায় গরু-ছাগল নিয়ে রাত কাটিয়েছেন। নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে ঘরবাড়ি ও সড়ক প্লাবিত করছে। কাঁচা-পাকা সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যেকোনো সময় রাস্তাঘাট ভেঙে পড়তে পারে। এছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কিছু স্থাপনা ও সড়ক।

তিস্তা এলাকার বাসিন্দা আফজাল মিয়া বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে পানি ঢুকতে শুরু করে। রাতেই বাড়িতে বুকসমান পানি উঠে। গরু-ছাগল নিয়ে কোনোভাবে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’

মহিষখোচা গোবর্ধন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘পাকা সড়কের ওপর দিয়ে পানি ঢুকছে। এই রাস্তা দিয়ে নদী এলাকার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই সড়ক ভেঙে গেলে মানুষের যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।’

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‘কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তীরবর্তী এলাকাবাসীকে অগ্রিম সতর্ক করা হয়েছে যেন তারা প্রস্তুত থাকে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।’