News update
  • Bangladesh can't progress sans women’s safety online & offline      |     
  • Legendary Mushfiqur creates history, hitting a ton in his 100th Test     |     
  • U.S. trade deficit drops 24% in Aug as tariffs reduce imports     |     
  • Belem countdown: Climate talks race to the finish     |     
  • 100 rooms of a colony burned to ashes in Gazipur     |     

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাষ্প নির্গমন শুরু বৃহস্পতিবার, আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-11-20, 9:09am

53a8f4584d5ca86e285bc7a384abc48cdaacb5f741c7af2c-1-7fbd5be1e1c40a45cd69a5ba2fb69ab51763608176.jpg




রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর)। এতে ভয় বা আতঙ্কিত না হতে স্থানীয়দের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বৃহস্পতিবার থেকে বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে ৪ থেকে ৫ দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চচাপের বাষ্প নির্গমনের সময় বিকট শব্দ স্বাভাবিক ও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানানো হয়। এতে জনসাধারণের কোনো ঝুঁকি বা বিপদের শঙ্কা নেই। এটি নিয়মিত কারিগরি প্রক্রিয়া, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত হয়।

এদিকে ডিসেম্বরের দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা নভেম্বরে চালু করার জন্য রাশিয়াকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, ডিসেম্বরে (পরীক্ষামূলকভাবে) চালু করবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি টিম পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে চূড়ান্ত সম্মতি দেবে।

পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর দুটি চালু হলে বাংলাদেশের গ্রিডে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ যোগ হবে। এর মধ্যে ইউনিট ১-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং ২০১৮ সালে ইউনিট ২ এর কাজ শুরু হয়। 

রূপপুর প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে রাশিয়া ৯০ শতাংশ বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে এবং বাকি ১০ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার ঋণের অর্থ ছাড়ের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে মূল আন্তঃসরকারি চুক্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য ঋণ বিতরণের সময়কাল ২০১৭ থেকে ২০২৪ (ডিসেম্বর) পর্যন্ত ছিল। ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড শেষে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ঋণের মূল পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা ছিল, যা পরবর্তীতে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। নতুনভাবে সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু হবে।