তন-ভাতা পাননি নারী ফুটবলাররা
আবারো নেতিবাচক কারণে আলোচনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল। তবে, এবারের পুরো দায় ফেডারেশনের। সূত্রের খবর, ঘটা করে ৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করলেও ঈদের আগে কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না নারীরা। যদিও, বাফুফের দাবি সব প্রক্রিয়া প্রস্তুত থাকলেও ব্যাংকিং জটিলতার কারণে যথা সময়ের ফুটবলারদের পাওনা পরিশোধ হয়নি। ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরলে এক সঙ্গে ৩৬ ফুটবলারকে বেতন দেয়ার নিশ্চয়তাও দিয়েছেন তারা।
ঈদের আনন্দ আছে সবার। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও। পরিবারের জন্য কেনাকাটা ও বিশেষ মুহূর্ত উপভোগের জন্য নির্ধারিত সময়ে সবাইকে বেতন বোনাস দিয়েছে বাফুফে।
তবে যাদের জন্যই এই ফুটবল ফেডারেশন, ঈদ নেই শুধু তাদের। তা না হলে চুক্তির মেয়াদের একমাসের বেশি পার হলেও কেন বেতন পাবেন না নারী ফুটবলাররা। তা নিয়ে যেন ভ্রুক্ষেপ নেই কারোই।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাবিনা-কৃষ্ণা-মারিয়াদের ছাড়া ৩৬ ফুটবলারদের সঙ্গে বেশ ঘটা করে নতুন চুক্তি করেছিল বাফুফে। এরই মাঝে কেটে গেছে অনেক সময়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচও খেলেছে আফেঈদা খন্দকাররা। তবে নতুন চুক্তি হলেও বাফুফের সূত্রের খবর ব্যাংকিং জটিলতার কারণেই নাকি নিজেদের পাওনা পাননি ফুটবলাররা।
বাফুফের এক কর্মকর্তা জানান চুক্তির পর নারী ফুটবলারদের বলা হয়েছিল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে। কিছু ফুটবলাররা তা না করায় পুরো দলকে বেতন দিতে পারেনি ফেডারেশন। তবে নারী ফুটবলারদের বেতনের অর্থ প্রস্তুত রেখেছে ফেডারেশন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরলেই সঙ্গে সঙ্গে তা পরিশোধ করা হবে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, নারী ফুটবলারদের পৃষ্ঠপোষক একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকলে কেন বেতন দিতে পারেনি ফেডারেশন। এর আগেও কাজী সালাহউদ্দিনের সময় ঈদের আগে বেতন নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটেছে কয়েকবার। তবে সেখান থেকে শিক্ষা নেয়নি ফেডারেশন। বরং সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলো বাফুফের নারী কমিটি।
শুধু ফুটবলাররাই নন, বেতন পাননি রেফারিরাও। দীর্ঘদিন ধরেই চলমান এই সমস্যা । ফেডারেশন প্রতিশ্রুতি দিলেও রাখতে পারছে না। অন্তত ঈদের আগে নিজেদের প্রাপ্য সম্মানী প্রত্যাশা করেছিলেন রেফারিরা।