চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মাদ্রিদ ডার্বির উত্তাপ। ব্রাজিলিয়ানের গোলে রিয়াল মাদ্রিদের লিডের পর আর্জেন্টাইনের গোলে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সমতা। তবে ঘরের মাঠে সমর্থকদের হতাশ হতে দেননি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। পাঁচ ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন ব্রাহিম দিয়াজ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অ্যাতলেটিকোকে ২-১ ব্যবধানে হারালো রিয়াল। দিয়াজের জয়সূচক গোলের আগে দৃষ্টিনন্দন গোলে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিয়েছিলেন রদ্রিগো। অ্যাতলেটিকোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেজ।
বার্নাব্যুতে অ্যাতলেটিকো বধ করলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় লেগে প্রতিপক্ষের ডেরায় কাজটাও সহজ হবে না আনচেলত্তির শিষ্যদের।
তবে নিজেদের ডেরায় এদিন যেভাবে আধিপত্য করেছে রিয়াল, তাতে সমর্থকরা আশা রাখতেই পারেন। এদিন ৫২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১৩টি শট নেয় লস ব্লাঙ্কোস। যার ৭টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে অ্যাতলেটিকোর নেয়া ৬ শটের ২টি ছিল লক্ষ্য বরাবর।
বার্নাব্যুতে এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ফেদেরিকো ভালভার্দের লম্বা পাস দখলে নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর বাঁ পায়ের কোনোকুনির শটে বল জড়ান জালে। লাফিয়েও সে বল নাগালে পাননি অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক জ্যান ওবলাক।
তবে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করতে পারেনি রিয়াল। ব্রাজিলিয়ানের পর আর্জেন্টাইনেরও ঝলক দেখে বার্নাব্যুতে খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীরা। ৩২তম মিনিটে যেন রদ্রিগোর শটেরই পুনরাভিত্তি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে তুলনামূলক বেশি দূরত্ব থেকে গোল আদায় করেন তিনি। জাভি গ্যালেনের পাস দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকেন তিনি। কোনাকুনির শটে পরাস্ত করেন থিবো কোর্তোকে। তাতে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকে ফের আক্রমণে ধার বাড়ায় রিয়াল। সাফল্য পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৫৫ মিনিটে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন ব্রাহিম দিয়াজ। ফারলেন্ড মেন্ডির পাস দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকেন দিয়াজ। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পাঁচ ডিফেন্ডারের বাধা কাটিয়ে নিঁখুত শটে জাল খুঁজে নেন এ উইঙ্গার।
এরপর আরও বেশ কয়টি সুযোগ তৈরি হয়েছিল রিয়ালের সামনে। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিউস-এমবাপ্পেরা।
তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের। সময়