বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ক্যানটাবেরির উদ্যোগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ফেনদেলটন কমিউনিটি সেন্টারে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বিকেল স্থানীয় সময় ২:৩০ ঘটিকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
ক্রিস্টোফার পালমার সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলদেশের এবং নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর অর্গানাইজেশনের সভাপতি ড. এম. এম. হারুন-উর-রশীদের অসুস্থতা থেকে রোগমুক্তির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
পরবর্তীতে ড. এস. এম. আকরামুল কবির সম্মানিত অতিথিদের সাদর আমন্ত্রণ জানান এবং বিউপনিবেশায়নের এই সময়ে ব্যক্তি পর্যায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করার জন্য তিন ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে কোরাস ও একক সংগীতমালায় বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। এ পর্যায়ে শুরুতে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো …” দলীয়ভাবে কনকচাঁপা খাস্তগির ও তাঁর দল (হেলাল উদ্দিন, প্রণমিতা পাল, মুনতাহা কারিনা, আসিবুর রহমান, চৈতী, মারজান রহমান) পরিবেশন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে আইয়ান-অর-রাশীদ (কমলা সুন্দরী), ইজহান কবির (একদিন ছুটি হবে), মারজান রহমান (বাঁশি শুনে আর কাজ নেই), নয়নিকা ও রুদ্র (ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়), প্রণমিতা পাল (ও কি বন্ধু কাজল ভোমরা), চৈতী (ভেঙে মোর ঘরের চাবি), কনকচাঁপা খাস্তগির (হৃদয় মাঝারে রাখিব) দর্শকের মনকে উদ্বেলিত করেন এবং একই সাথে হেলাল উদ্দিন তবলার সুরেলা বিটের ঝংকার তোলেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছোট্ট সোনামনিদের জন্য ট্রেজার হান্ট নামে একটি মজার খেলার আয়োজন করা হয়। এরপর হেলালউদ্দিনের পরিচালনায় গণসংগীত, "আবার জমবে মেলা বটতলায়" পরিবেশনার মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটে।
পরিশেষে ক্রিস্টফার পালমা সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে আনন্দময় করার জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জুয়েল আইচ, রাহুল ও আসিবুর রহমানকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটি ক্যানটাবেরির আয়োজনে মজাদার খাবার এবং গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি পরিবেশন করা হয়।