মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ শতাধিক মানুষ।
দেশটির সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
মিয়ানমারের মান্দালয়ে অবস্থান করা উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বিবিসিকে বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। উদ্ধার প্রচেষ্টা চলমান থাকায় আমরা এখন এটুকুই বলতে পারি।’
এদিকে মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ মার্চ) ইউএসজিএসের নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, মিয়ানমারে যে মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে আমরা ধারণা করছি, দেশটির বিস্তৃত অংশ জুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মিয়ানমারে শুক্রবার দুপুরে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাগাইংয়ে ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে ভূকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল।
ইউএসজিএস জানায়, মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে এখনও বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে থাইল্যান্ডে ক্ষয়ক্ষতির বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও এবং তথ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে ভূমিকম্পটি ছিল বেশ বিধ্বংসী।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে ভবন ধসে সাত জন নিহত এবং ৮১ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। ব্যাংককে মেট্রো ও রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানান, মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে একটি বড় ভূমিকম্পে ব্যাংকক শহরে আঘাত হানার পর শুক্রবার থাই কর্তৃপক্ষ ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এ ছাড়াও মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোসহ ছয়টি শহর এবং অঞ্চলে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার।
আরটিভি