কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেছেন, তিনি (নোবেল) এক নারীকে সাত মাস একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিলেন। জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল পেয়ে ওই বাসা থেকে নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে নোবেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, নোবেলের নামে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।
এদিকে বিতর্কিত গায়কে গ্রেপ্তারের পর মুখ খুলেছেন প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল। নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, আমি বর্তমানে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছি। আমি কারও বিরুদ্ধে কোনো প্রকারের মামলা দায়ের করিনি।
নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে সন্দেহ প্রকাশ করে সালসাবিল বলেন, নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারও পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ ও নেশাগ্রস্ত, তাহলে সে কীভাবে কাউকে আটকে রাখবে?
এদিকে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, গত নভেম্বরে নোবেল ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে আসেন। তিনি গত ৭ মাস ধরে ওই মেয়েকে বিয়ে না করে ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনা তিনি ফোনেও রেকর্ড করেছেন। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা যোগ করেন, ভুক্তভোগী মেয়ে ৯৯৯-এ সহায়তা চান। পরে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এরপর একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। তখন থেকে নোবেল পলাতক ছিলেন। অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নোবেল সীমান্ত পেরিয়ে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য একটি মাইক্রোবাসও ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে আটক করা হয়।
আরটিভি