News update
  • Sunamganj farmers worry over fair prices for Boro paddy     |     
  • Pope Francis was a source of controversy, spiritual guidance in Argentina     |     
  • Four Rare Snow Leopards Spotted on Pakistan’s Northern Peaks     |     
  • Gold becomes pricier than ever in Bangladesh      |     
  • Bangladesh mourns Pope Francis’ death; Yunus pays tribute     |     

পাবনার পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ৯৪ তম জন্মদিন পালিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সেলিব্রিটি 2025-04-06, 2:56pm

4tr53543543-bfb7b3ab6a255fde050840e27e5b88d71743929761.jpg




মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৯৪তম জন্মদিন পালিত হলো পাবনার হেমসাগর লেনে তার পৈত্রিক বাড়িতে। অনাড়ম্বর পরিবেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভার ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়।

রোববার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা শহরের হেমসাগর লেনে মহানায়িকার পৈতৃক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। পরে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. রামদুলাল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ মধু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলু রহমান।

১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বংলাদেশের পবনা জেলায় (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সি) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা করুণাময় দাশগুপ্ত ও মা ইন্দিরা দেবী। অভিনেত্রীর পারিবারিক নাম ছিল রমা রায়। করুণাময়-ইন্দিরা দম্পতির তৃতীয় সন্তান চিলেন তিনি।

১৯৫২ সালের ‘শেষ কোথায়’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান সুচিত্রা সেন। তবে ছবিটি আলোর মুখ দেখেনি। পরে রুপালি পর্দায় তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির মাধ্যমে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন উত্তম কুমার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সুচিত্রাকে।

একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে বাংলা সিনেমার সর্বকালের সেরা জুটি হয়ে ওঠেন উত্তম-সুচিত্রা। ক্যারিয়ারের উল্লেখ্যযোগ্য ছবির মধ্যে ‘কাজরী’, ‘ঢুলি’, ‘মরনের পরে’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

সুচিত্রা সেন আজীবন নায়িকা ছিলেন। কখনও কোনো পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায়নি তাকে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত নায়িকা ইমেজ ধরে রাখতে বেছে নিয়েছিলেন স্বেচ্ছা আড়াল জীবন। টানা ২৫ বছর অভিনয়ের পর ১৯৭৮ সালে চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কখনও জনসম্মুখে দেখা দেননি তিনি।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি জীবনের লেনাদেনা চুকিয়ে অনন্তলোকে যাত্রা করেন তিনি। সেইসঙ্গে সমাপ্তি ঘটে বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধ্যায়ের।আরটিভি