ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। যদিও, ট্রাম্পের নীতি না বদলালে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরান কোনো আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
সম্প্রতি নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত হতে ইরানকে দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজি না হলে তেহরানে হামলারও হুমকি দেন তিনি। যার তীব্র সমালোচনা করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার আহ্বানও জানান তিনি।
রোববার (২৩ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি সম্ভাব্য নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, যা সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ এড়ানোর প্রচেষ্টা। সবকিছু সামরিক উপায়ে সমাধান করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন উইটকফ।
যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের নীতি পরিবর্তন না হলে কোনো আলোচনা সম্ভব নয়। ইরান যুদ্ধকামী নয়, তবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্পের চিঠিকে হুমকি হিসেবে দাবি করে দ্রুতই তেহরান এর জবাব দেবে বলেও জানান আরঘচি।
২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে ওয়াশিংটনের ওপর তেহরানের বিশ্বাসের সংকট তৈরি হয়। ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ইরানের সঙ্গে আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।