গত মার্চ মাসে ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ১৬৩ জন নারী ও কন্যা ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর এসেছে।
১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর সংকলন করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) মার্চ মাসের তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা গেছে ২৪৮ জন কন্যাশিশু (১৮ বছরের নিচে) এবং ১৯৪ জন নারী অর্থাৎ মোট ৪৪২ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন কন্যাসহ ১৬৩ জন। ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে ১৮ জন কন্যাশিশুসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ২ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, মার্চ মাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন কন্যাশিশুসহ ১৬ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৬ জন কন্যাশিশু। বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাশিশুসহ ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ২ জনকে। ৯ জন কন্যাশিশুসহ ২৯ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের শিকার হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে ১০ জন কন্যাশিশু। একজন নারী অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ জন, এর মধ্যে ২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৭ জন, এর মধ্যে ২ জন কন্যাশিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী। ২ জন গৃহকর্মী (১৮ বছরের নিচে) হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ৮ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া ২ জন কন্যাশিশুসহ ১১ জন অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন। তিনজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এ ছাড়া ৪ কন্যাশিশুসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।আরটিভি