বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে নতুন করে বাড়িভাড়া বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ নির্ধারণে নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমের কাছে প্রস্তাবনা সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ পাঠানো হয়।
নতুন প্রস্তাবে চারটি স্লটে শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি উল্লেখ করে বাড়িভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বাড়ালে কত টাকা ন্যূনতম বাড়বে, ১৫ শতাংশ বাড়ালে ন্যূনতম ভাতা কত হবে, ১০ শতাংশ বাড়ালে ন্যূনতম ভাতা কত হবে এবং ২০ শতাংশ বাড়ালে ন্যূনতম বেতন কত বাড়বে তা উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ৫০ থকে ৭৫ শতাংশ উন্নীত করা, শিক্ষক-কর্মচারীদের মেডিকেল ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা ও বাড়িভাড়া এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা একটি আধাসরকারি পত্র অর্থবিভাগে পাঠিয়েছেন।
অফিস আদেশে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিদ্যমান ভাতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বর্তমানে উৎসব ভাতা বাবদ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ, মোডিক্যাল ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা এবং বাড়িভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা পাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নির্ধারিত বাড়িভাড়ার পরিবর্তে ন্যূনতম ২০ শতাংশ ভাড়া দেয়ার আবেদনটি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে, বাড়িভাড়া এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করে অর্থবিভাগের আদেশ জারির পর রোববার শিক্ষকরা আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ে ফোন করে জানিয়েছি কেন চারটি স্লটে ভাগ করে প্রস্তাব পাঠানো হলো। আগের মতো শুধু ২০ শতাংশ উল্লেখ করে প্রস্তাব কেন পাঠানো হলো না? মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে আমাদের দাবি আপাতত বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ করা।
নতুন প্রস্তাবেও কর্মচারীদের উৎসব ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বাড়ানোর প্রস্তাব নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগে কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ পেতেন শিক্ষকরা পেতেন ২৫ শতাংশ। এই বৈষম্য দূর করতে শিক্ষক-কর্মচারী সবারই ৫০ শতাংশ করা হয়। এবার যে প্রস্তাব তাতে উৎসব ভাতার ক্ষেত্রে বৈষম্য থাকবে। তবে আমরা বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়টিতে জোর দিচ্ছি।