News update
  • Remittance surges to $2.68 billion in 29 days of November     |     
  • Probe body says Hasina had 'green signal' for BDR Carnage     |     
  • BDR mutiny was conspiracy to destabilise BD: Inquiry chief     |     
  • Teesta Bundh ‘renovation’ in Rangpur turns into a 'sand bonanza'     |     
  • সমুদ্র থেকে লাইটার জাহাজে লাফিয়ে উঠলো ৩ মণ ইলিশ     |     

দেশে এইচআইভি সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কী বলছে এসটিডি কন্ট্রোলের তথ্য?

বিশ্ব এইডস দিবস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-12-01, 12:36pm

e0481e8144e09dbe8e558da445c49eb3b1babe63bd01635a-2491d5f824601b6b481b3ed8c91e3e321764571018.jpg




প্রতিনিয়তই ঊর্ধ্বমুখী এইচআইভি বা এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। গবেষণা বলছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই সমকামী। এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। আর ২০৩০ সাল নাগাদ দেশ থেকে এইচআইভি বা এইডস নির্মূলের পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের।

রাজধানীতে এলার্জি পরীক্ষা করতে গিয়ে এইডস শনাক্ত হয় এক যুবকের। তিনি জানান, সমকামিতায় জড়িয়ে যাওয়ায় এমন পরিণতি তার।

ওই যুবক বলেন, এই ভুল পথে না যেতে সবাইকে অনুরোধ করবো। একটা ভুলের জন্য সারাজীবন পস্তাতে হয়। আমি চাই না, আমার মতো কেউ এভাবে পস্তাক।

চিকিৎসকরাও বলছেন একই কথা। চিকিৎসক ড. এ আর এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে এইচআইভি আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই সমকামী। এ ছাড়া ৪০ শতাংশের মতো বিদেশ থেকে এ রোগ বহন করে নিয়ে আসে। আর ব্ল্যাড বা এ জাতীয় বিভিন্নভাবে কিছু লোক আক্রান্ত হন।  

ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল দেশের একমাত্র বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র। চলতি বছর এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৩০০ এইচআইভি রোগী। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১২ জন। কিট সংকটের পাশাপাশি জনবলের অভাবে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও তা পাচ্ছেন না রোগীরা।

সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাসার বলেন, আমাদের এখানে যারা আসেন, তারা খুব খারাপ পর্যায়ে এসে ভর্তি হন। এখানে আসা রোগীদের এইচআইভি ছাড়াও অন্যান্য রোগ থাকে। এগুলোর জন্য যে ধরনের ল্যাবের সাপোর্ট দরকার, সেটা আমরা তাদেরকে দিতে পারি না।  

দেশব্যাপী এইডস শনাক্তকরণ কেন্দ্রগুলোতেও আছে কিট সংকট। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে চলতি সপ্তাহেই কেটে যাবে তা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় এইডস বা এসটিডি কন্ট্রোলের পরিচালক ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘কিটের কিছুটা স্বল্পটা ছিল। বিমানবন্দরে যখন কিট আসে, এর এক বা দুইদিন আগে আগুন লাগে। তাই ওই কিট আমরা এখনও পাইনি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কিট পেয়ে যাব।’

এইডস বা এসটিডি কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২৪ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন, মারা গেছেন ১৯৫ জন। ২০২৩ সালে আক্রান্ত হন ১ হাজার ২৭৬ জন এবং মৃত্যু হয় ২৬৬ জনের। আর চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে দেড় হাজার। একদিকে যখন সীমা ছাড়িয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা অন্যদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস নিমূলের পরিকল্পনা করছে সরকার।

একই বেডে ঘুমালে কিংবা একই প্লেটে খেলে এইডস ছড়ায় না। চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন এইচআইভি রোগীরা।