News update
  • Gold price in Bangladesh above Tk 2 lakh per Bhori for 1st time     |     
  • Tarique Vows to Return, be With People During Polls     |     
  • Exports Dip 4.5pc in September Amid US Tariff Impact     |     
  • Hamas calls for swift hostage-prisoner swap as talks set to begin     |     
  • Leadership vacuum cripples primary education in Sonargaon     |     

আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমরা জিতব : তারেক রহমান

ফিনান্সিয়াল টাইমসকে সাক্ষাৎকার

রাজনীতি 2025-10-06, 11:37pm

taarek_1-3bf733f1cf224b344a9ca993d46818d31759772277.jpg




বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তার দল (বিএনপি) বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

তারেক রহমান যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) ফিনান্সিয়াল টাইমস তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হতে পারে না, যতক্ষণ না একটি অবাধ ও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমরা জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আছি।’

‘আমি মনে করি, আমার বাংলাদেশে ফেরার সময়টি খুব কাছাকাছি’, বলেন তারেক রহমান।

বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব যে-ই দিক, পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়া এমন একটি সময়ে তাকে নেতৃত্ব দিতে হবে, যখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ পোশাক খাত যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কারোপে আক্রান্ত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পর তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। একটি নির্বাচনের জরিপে দেখা গেছে, বিএনপি এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছেন।

ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে তারেক রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ‘ফ্যাসিবাদী’। তিনি বলেন, বিএনপি অন্যান্য দলের সঙ্গে সরকার গঠন করতে প্রস্তুত, যার মধ্যে গত বছরের অভ্যুত্থানে প্রথম সারিতে থাকা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন একটি নতুন দলও রয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদেরকে রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।’

সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের দেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কর্মসূচির কিছু দিক তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাজন, ইবে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটি ‘সরবরাহ কেন্দ্র’ হয়ে ওঠার মাধ্যমে রপ্তানি পোশাক খাত থেকে বহুমুখীকরণ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে তিনি ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ বিদেশ নীতি অনুসরণ করবেন। যা এতদিন ‘একতরফা’ ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশের দুটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের মূলে রয়েছে তিক্ত পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, যিনি ১৯৭৫ সালে তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন।

তারেক রহমানের বাবা আরেকজন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও ১৯৮১ সালে হত্যা করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া কয়েক দশক ধরে বিএনপিকে নেতৃত্ব দেন।

৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে নির্বাসনে রয়েছেন। তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি উলেখ করেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভেঙে দেবে। তিনি বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত এই ধরনের অন্যায়ের জন্য সাত হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে।

তবে তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি তারা অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে... নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে?’

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে হত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া চলছে। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকাল দুর্নীতি এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের ওপর নৃশংস দমন ছিল উল্লেখযোগ্য, যার মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনাও রয়েছে। 

তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি ইউনূস প্রশাসনের কোটি কোটি ডলার উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন, যা হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বিদেশে লুট করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।