BML Logo
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪০ জন কেন্দ্রীয় নেতা এক যুক্ত বিবৃতিতে একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরকে দলীয় নির্বাহী কমিটির সভায় অব্যাহতি প্রদানের খবরে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দলের সাবেক সভাপতির নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বানের কোন এখতিয়ার নেই। তাছাড়া জুবায়েদা কাদেরের আহ্বানকৃত নির্বাহী কমিটির এ রকম কোন সভার আমন্ত্রণ অথবা নোটিশই আমরা পাইনি, সশরীরে বা ভার্চুয়ালি যোগ দেয়া তো দূরের বিষয়, বরং গঠনতান্ত্রিক বিধি অনুযায়ী আহুত আগামী ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ইং তারিখে মুসলিম লীগ জাতীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভার নোটিশ পেয়ে সারাদেশ থেকে আমরা নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ নেতৃবর্গ সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ অবস্থায় ভূতপূর্ব সভাপতি জোবায়েদা কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে, দলের প্রাথমিক সদস্যও নয় এরকম বহিারগতদের নিয়ে করা একটি সভাকে নির্বাহী কমিটির সভা বলে প্রচার করে, কাউন্সিলের মাধ্যমে বরংবার নির্বাচিত দলের দীর্ঘদিনের মহাসচিবকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত সাজানো, অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
মুসলিম লীগকে সাংগঠনিক ভাবে দখলে নিয়ে প্রতিবেশী একটি দেশের এজেন্টদের পুনর্বাসনের কাজে ব্যবহারের লক্ষ্যে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ফাইল-পত্র ভারতে পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ও আটক হওয়া জনৈক ব্যক্তির অর্থায়নে গত ২২ মার্চ, ২০২৫ তারিখে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী ভাড়াটে লোকজন জড় করে একটি সাজানো কাউন্সিল আয়োজনের অপচেষ্টা চালায়। দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের সহ নেতা-কর্মীদের দৃঢ়তায় তা ব্যর্থ হয়ে যায়।
১৯এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাহী কমিটির সভায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে তারা দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন করে এরকম চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। দলীয় শৃঙ্খলা, ভাবমূর্তি ও আদর্শ নষ্ট করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নির্বাহী সভাপতি আজিজ হাওলাদার ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের এরকম ভুয়া-ভিত্তিহীন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন ২১ নম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গঠনতান্ত্রিক ভাবে দলের অস্থায়ী সভাপতি মো. মহসীন রশিদ ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরের পরিচালনায় দলীয় প্রধান কার্যালয় ১১৬/২ বক্স কালভার্ট রোড, নয়াপল্টন, ঢাকা থেকে বহাল তবিয়তে পরিচালিত হচ্ছে।
যৌথ বিবৃতি প্রদানকারি নেতারা হলেন - বাংলাদেশ মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াজির আলী মোড়ল, সহ-সভাপতি কাজী আশফাক, এড. ফকির জসিমউদ্দিন, এম.এম ইসলাম ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নাজমুল হাসান সেলিম (চট্টগ্রাম), আমির হোসেন সরকার (রাজশাহী), আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী(সিলেট), মাসউদুর রহমান দুলু (রংপুর), মো. হাসমতউল্যাহ (ময়ংমনসিংহ), প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, বাণিজ্য সম্পাদক ফারুক আহমেদ, যুব সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, আইন সম্পাদক এ্যাড. এ.টি.এম আশরাফুল আলম, ধর্ম সম্পাদক মাও. জহুরুল আনোয়ার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক দস্তগীর আলম নসু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-দফতর সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান, মশিউর রহমান কায়েশ, মিয়া মো. আল আমিন, কাজী লুৎফর রহমান, লিয়াকত আলী, মো. বোরহান উদ্দীন, মো. শাহজাহান, মহিউল আলম শেলী, আবু তাহের বাচ্চু, তাজুল ইসলাম তাজু, খাইরুল আলম, শেখ নিজামউদ্দীন, আব্দুল মান্নান মোল্লা, মীর জাকির হোসেন, ফকির মাহমুদ, রুস্তম আলী, কাজী আব্দুর রহিম প্রমুখ - প্রেস বিজ্ঞপ্তি