News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

জনসংখ্যা বাড়াতে রাতে বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট বন্ধ করতে যাচ্ছে যে দেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-12-16, 9:42am

tgetertret-ddaa57dfd3c3f964c228da853713de4a1765856535.jpg




একদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ, অন্যদিকে তরুণ-তরুণীদের সন্তানধারণে অনীহা। তারমধ্যে প্রতি বছর জন্মহার তো কমছেই। এমন পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প ও  পরিকল্পনা করছে রাশিয়া সরকার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে রাতের নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনা। 

লাইভ মিন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, উন্নত বিশ্বজুড়ে যখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই নিম্নমুখী, তখন রাশিয়ায় উঠে এসেছে এক ব্যতিক্রমী ধারণা। সম্প্রতি জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে রাতের নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে যাচ্ছে রাশিয়া।

প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, রাতে স্ক্রিনে ডুবে থাকার প্রবণতা কমলে মানুষ বেশি বিশ্রাম নেবে, পরিবারকে বেশি সময় দেবে। এর ফলে পারিবারিক সম্পর্ক ও সন্তান জন্মদানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রস্তাবটির সমর্থকদের মতে, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের অভ্যাস আমূল বদলে দিয়েছে। রাত জেগে স্ক্রিনে ডুবে থাকা শুধু ঘুমের ক্ষতিই নয়, পারিবারিক যোগাযোগও কমিয়ে দিচ্ছে, যা জন্মহার হ্রাসের সঙ্গে জড়িত। তাই জনসংখ্যাগত সংকট মোকাবিলায় এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

সমালোচকরা বলছেন, জন্মহার কমে যাওয়ার পেছনে বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেট নয়, বরং আবাসন সংকট, উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং সন্তানের শিক্ষা ও লালন-পালনের ব্যয়ের মতো অর্থনৈতিক বিষয়গুলোই পরিবার পরিকল্পনায় বড় ভূমিকা রাখে।

অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, যারা রাতে কাজ করেন, অনলাইন ক্লাস করা শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার বা চিকিৎসকদের জন্য এই ‘প্রেমময় অন্ধকার’ কতটা বাস্তবসম্মত? রাষ্ট্রীয় নির্দেশে আবেগ বা রোমান্স তৈরি করা সম্ভব নয়।

এ ছাড়া জনসংখ্যা বাড়াতে ‘মিনিস্ট্রি অব সেক্স’ চালুর কথা ভাবছে রাশিয়া সরকার। একইসঙ্গে একবার সন্তান নিলে পাঁচ হাজার রুবল পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা রাখার সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া বিয়ের পর প্রথম রাতে বিশেষ কোথাও রাত কাটানোর জন্যও আলাদা আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাতৃত্বকালীন সহায়তার পাশাপাশি বাবাদেরও বিশেষ সুবিধা দিতে চায় রুশ সরকার।

বর্তমানে এককালীন প্রসবকালীন অর্থ প্রদান, বর্ধিত মাতৃত্বকালীন সুবিধা এবং পরিবারগুলোর জন্য চলমান আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালু রয়েছে দেশটিতে। এমনকি, ১০টির বেশি সন্তানের জন্ম দেওয়া নারীদের জন্য সোভিয়েত যুগের মাদার হিরোইন পুরস্কারটিও ফের চালু করা হয়েছে।

গত বছরের শেষের দিকে কর্মক্ষেত্রে মধ্যাহ্নভোজ ও কফি পানের বিরতির ফাকে সঙ্গমের পরামর্শও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার ওই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। 

উল্লেখ্য, ফেডারেল স্টেট স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিস (রোসস্ট্যাট) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মাত্র ১২ লাখ ২২ হাজার শিশুর জন্ম নথিভুক্ত হয়েছে, যা ১৯৯৯ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। ২০১৪ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে জন্মহার।