ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৫৫ হাজার ৮৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য পাচারের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা একটি করা হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির এসভিপি আইটি বিভাগের ইনচার্জ লোকমান ফারুক ও অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ওসমান গণিসহ অজ্ঞাতদের।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ১৯, ২১ ও ২২ নং ধারায় এ মামলা করা হয়। মামলা নাম্বার-৯।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থেকে তাদের সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংরক্ষিত তথ্যভাণ্ডার হতে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য দেশি-বিদেশি কোম্পানির কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে। এর ধারাবাহিকতায় আসামি লোকমান ফারুক ও ওসমান গণি গেল বছরের ২৭ মে আইটি বিভাগ থেকে একটি অফিস নোট আপেল মাহমুদ বরাবর উপস্থাপন করলে তিনি তা অনুমোদন করেন। এরপর অফিস নোট তৈরি করে সাবলাইন লিমিটেড নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাফতরিক রূপ দেন।
একই দিন তারা অফিস চলাকালীন ডিজিটাল ডিভাইস কম্পিউটারে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ফারইস্টের ৫৫ হাজার ৮৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যাংক হিসাবের তথ্য, মোবাইল নম্বর, কর্মচারী পরিচিতি, বেতন সংক্রান্ত তথ্যাদি) সাবলাইন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতির মাধ্যমে সরবরাহ করেন।
ব্যক্তিগত পাচারের কারণে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৫৫ হাজার ৮৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চরম হুমকিতে পড়েছে। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে ওই অপরাধ প্রকাশ পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।