মূল্য নির্ধারণের পরও কোরবানির পশুর চামড়ার সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। এছাড়া নানা কারণে প্রায় ৩০ শতাংশ পশুর চামড়ার মান নষ্ট হয়েছে, সেজন্য দামও কমেছে বলে দাবি ট্যানারি মালিকদের।
বছরভেদে জাতীয় সম্পদ পশুর চামড়া নিয়ে অজুহাতের কমতি থাকে না এ খাত সংশ্লিষ্টদের। কখনো বেশি দামে চামড়া কিনে বেচতে এসে ক্ষতির মুখে পড়ে মূলধন হারানোর অভিযোগ করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ উপকারভোগীরা। কখনও আবার মানহীন চামড়া, ব্যবসায় ধস, অর্থ সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে কম দামে কেনার সিন্ডিকেট করেন অনেক ব্যবসায়ী।
এবারও কোরবানির মৌসুমে ব্যতিক্রম হয়নি এ শিল্পে। ভুক্তভোগীরা জানান, চামড়ার দাম একদম পড়ে গেছে। আড়তদাররা দামই দিচ্ছে না। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পশুর চামড়া ছাড়াতে গিয়ে কেটে ফেলার ঘটনা পুরানো। কিন্তু কাঁচা এ পণ্যে নতুন সংকট তৈরি করছে পক্স, অ্যানথ্রাক্স রোগে গুটি হওয়া এবং মোটাতাজাকরণের কারণে চামড়া ফেটে দাগ তৈরি হওয়ার মতো রোগ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের দিন রাত ১২ টা পর্যন্ত চামড়ার দাম ঠিক ছিল। এরপর থেকে চামড়া নষ্ট হতে শুরু করায় দাম কিছুটা পড়ে গেছে। এছাড়া চলতি ঈদ মৌসুমে পক্স, অ্যানথ্রাক্স রোগে গুটি হওয়া গরুর চামড়ার পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ।
চলতি মৌসুমে প্রায় ৮০ হাজার চামড়া সংগ্রহের একক লক্ষ্য পুরান ঢাকার পোস্তার ব্যবসায়ীদের। তবে বরাবরের মতো অর্থ সংকটের অজুহাত তাদের। তারা জানান, রাজনৈতিক দলের কোরবানি কম হওয়ায় এবার চামড়া কিছুটা কম।
একইসঙ্গে ব্যাংক ঋণে ভাটা পড়ায় ১০-১৫ শতাংশ চামড়া কিনতে না পারার শঙ্কায় তারা। পোস্তা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. টিপু সুলতান বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ মিলছে না। সেখানে অধিক পরিমাণে চামড়া কেনা কষ্টকর।
দেশে বছর জুড়ে পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রায় ৬০ শতাংশই সংগ্রহ হয়ে থাকে কোরবানি মৌসুমে। আর সঠিক সময়ে সংরক্ষণের অভাবে সারাদেশে নষ্ট হয় ১০-১৫ শতাংশ চামড়া।