News update
  • Dhaka’s footpaths abuzz with low-income Eid shoppers      |     
  • Dr Yunus back home ending his hugely successful China visit     |     
  • Eid Journey: No Traffic Jam on Dhaka-Chattogram Highway     |     
  • Myanmar quake toll passes 1,600 as rescuers dig for survivors     |     
  • 47m health workers, advocates for cleaner air to curb deaths     |     

অ্যাপে বিনিয়োগের ফাঁদ: ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-03-26, 12:25pm

02c507f8c5fb67c8ac492da5e986b08faf0bd9302aa2d925-9e87821b3e7b4dcf197039cad7444b951742970334.png




সম্প্রতি রাজশাহীতে অনলাইনে বিনিয়োগের নামে কথিত দুটি অ্যাপে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৩শ কোটি টাকার বেশি। এ নিয়ে থানা ও আদালতে মামলা হয়েছে ১১টি। ৪টি মামলার তদন্তে সত্যতা মিললেও আসামিরা লাপাত্তা। এর আগে এমটিএফই, আল্টিমা ও ই-মুভি প্ল্যানসহ কয়েকটি অ্যাপে অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একাধিক মামলা হলেও, নেই অগ্রগতি।

ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট। রাজশাহীর প্রতারক চক্রের তৈরি মোবাইল অ্যাপ। লোভনীয় প্রলোভনে বিনিয়োগকারীরা কয়েক মাস লাভ পাওয়ায়, চক্রের হাতে তুলে দেন কোটি কোটি টাকা। পরে অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলে বিনিয়োগকারীরা পড়েন বিপাকে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ২শ কোটি টাকা।

বিনিয়োগের বিপরীতে মাসে মাসে লাভ, সেইসঙ্গে সোনার গহনা ও আইফোন জেতার সুযোগ। এমন প্রলোভনে রাজশাহীর বাঘায় বিডিডিএআই নামে আরেক কথিত অ্যাপে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্তরা পলাতক। ভুক্তভোগীরা জানান, সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক প্রতারকের স্ত্রীকে আটক করা হলেও ২১ দিন পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখন আর কেউ আটক নেই।

এসব ঘটনায় রাজশাহীতে মামলা হয়েছে ১১টি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও থানা পুলিশ তদন্ত শেষে প্রতারণার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে ৪টি মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতারক চক্রের মূলহোতা রাজশাহীর ওয়াহেদুজ্জামান, তার স্ত্রী ফাতেমা, মিঠুন মণ্ডল, লক্ষ্মীপুরের মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া ও শ্রীমঙ্গলের ফারুক হোসাইন পলাতক। তাদের মধ্যে ফাতেমা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

রাজশাহীর আইনজীবী শামীম আকতার বলেন, কিছু কিছু মামলায় সমন হয়েছে। সমন হওয়ার পর সমন রিপোর্ট ফেরত এসেছে। আসামিরা জামিন না নিলে বা আত্মসমর্পণ না করলে, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। তবে ওয়ারেন্টগুলো এখন পর্যন্ত পেন্ডিং আছে।

এর আগে, দুবাইভিত্তিক এমটিএফই ২০২৩ সালের আগস্টে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গায়েব হয়ে যায়। যার হাজারো বিনিয়োগকারী ছিল রাজশাহীর। এছাড়া দুবাইভিত্তিক আল্টিমা, ই-মুভি প্ল্যানসহ কয়েকটি অ্যাপ রাজশাহীতে গ্রাহক তৈরি করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এসবে একাধিক মামলা হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।

আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, মামলার যিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা আছেন, তিনি সঠিক বিষয়গুলো খুঁজে বের করবেন। এছাড়া প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের  অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পিবিআই, সিআইডির কাছ থেকে সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এ মামলাগুলো প্রমাণিত হলে অপরাধীর সাজা হবেই। খালাস হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে এমন ১০টি মামলা বিচারাধীন। ২টি মামলা সাক্ষ্য পর্যায়ে, আর ৮টি তদন্তাধীন। আমলী আদালত ও থানায় দায়ের হওয়া মামলার বেশিরভাগই তদন্ত পর্যায়ে। সব প্রতারণার মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সময়।