News update
  • Public awareness campaign before fuel loading at Rooppur NPP     |     
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     

একটিমাত্র ভুলেই বাতিল হচ্ছে জমির মালিকানা, জেনে নিন করণীয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-12-11, 8:46pm

rfwerwer-5b8a0084024bfd4010818afe41f17ef51765464408.jpg




সরকার জমির মালিকদের জন্য ‘ভূমি মালিকানা সনদ’ (সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ—সিএলও) চালু করতে যাচ্ছে। কিউআর কোড বা ইউনিক নম্বরযুক্ত এই স্মার্ট কার্ড ভবিষ্যতে জমির মালিকানা নির্ধারণে চূড়ান্ত দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে এই কার্ড ব্যবহার করেই জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে। নতুন আইনে বলা হয়েছে—কেউ টানা তিন বছর খাজনা না দিলে তার জমি বাজেয়াপ্ত করে খাস খতিয়ানে নিয়ে নেওয়া হবে।

শুধু তাই নয়, কারও জমি প্রতারণা বা জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা—অথবা উভয় দণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। এসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এই আইন কার্যকর হলে দেশের প্রতিটি জমির জন্য আলাদা মালিকানা সনদ দেওয়া হবে। এই সনদের মাধ্যমে খুব সহজেই জমির ইতিহাস, মালিকানা ও ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা সম্ভব হবে। খসড়াটি অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই খসড়াটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। তবে এই আইন তিন পার্বত্য জেলায় প্রযোজ্য হবে না।

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের পর মালিককে অবশ্যই নামজারি করে রেকর্ড হালনাগাদ করতে হবে এবং নতুন মালিকানা সনদ তৈরি করতে হবে। মালিকানা পরিবর্তন হলে সিএলও-ও নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে—যার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। বর্তমানে বছরে একবার মালিকানা নবায়নের বিধান নেই, তাই খাজনা দেওয়ার পর যে দাখিলা বা রশিদ দেওয়া হয়, সেটিই মালিকানার ধারাবাহিকতার সরকারি প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

খসড়ায় কৃষিজমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও কঠোর শর্ত রাখা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজে জমি প্রয়োজন হলে প্রথমে অনুর্বর বা কম উৎপাদনশীল জমি বেছে নিতে হবে। দুই বা তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ সাধারণত নিষিদ্ধ, তবে জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। কোন জমি দুই বা তিন ফসলি—তা নির্ধারণে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

এ ছাড়া জমির শ্রেণিবিন্যাস আধুনিকায়নের জন্য স্যাটেলাইট ইমেজের ভিত্তিতে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। জমির গুণ, প্রকৃতি ও ব্যবহার অনুযায়ী কৃষি, আবাসিক বা অন্যান্য শ্রেণিতে বিভক্ত করা হবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না; এক বিঘা পর্যন্ত ব্যক্তিমালিকানার জমি পরিবর্তনে অনুমতি লাগবে না। নিয়ম ভাঙলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকবে।

আরও বলা হয়েছে, এলাকার ডিজিটাল ম্যাপ অনুযায়ী কৃষিজমিকে অনুমতি ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন বা বাসস্থান নির্মাণে তুলনামূলক কম উর্বর জমি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে কৃষিজমি রক্ষায় বহুতল ভবন নির্মাণে উৎসাহ দিতে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের প্রস্তাবও রয়েছে।

একটি পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের চলাচলের পথ বন্ধ হলে আলোচনা বা স্থানীয় সরকারের মধ্যস্থতায় বাজারমূল্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পথ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ বাধা দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।