News update
  • Remittance surges to $2.68 billion in 29 days of November     |     
  • Probe body says Hasina had 'green signal' for BDR Carnage     |     
  • BDR mutiny was conspiracy to destabilise BD: Inquiry chief     |     
  • Teesta Bundh ‘renovation’ in Rangpur turns into a 'sand bonanza'     |     
  • সমুদ্র থেকে লাইটার জাহাজে লাফিয়ে উঠলো ৩ মণ ইলিশ     |     

ভয়াবহ বন্যার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তাপাড়ের মানুষের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-10-06, 8:08am

tyretertew-026f2d204cf059ca6b05ca9eef29b6a61759716519.jpg




তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী উপচে সেই পানি হু হু করে ঢুকছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.২৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর। রাত ১২টায় পানিপ্রবাহ বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ দশমিক ৫০ মিটারে যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটারের ওপরে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

রাতের মধ্যেই তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই মধ্যে নদী এলাকায় সতর্কতা জারি করে মাইকিং করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর রাতের দিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করে ৫২ দশমিক ৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপদসীমার ৫২ দশমিক ১৫ মিটারের চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি।

বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রামে। এসব এলাকার শত শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, আদিতমারী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে এবং এখনো বাড়ছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, পানিবন্দী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবার ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।আরটিভি