জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৭ এপ্রিল) এক অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়।
তদন্ত কমিটি গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয়, গ্রিড বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দায় নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবে। কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে। এছাড়া ভবিষ্যতে গ্রিড বিপর্যয় পরিহারের লক্ষ্যে সুপারিশ দেবে।
বুয়েটের উপ-উপাচার্য আব্দুল হাসিব চৌধুরীক আহ্বায়ক করে ঘোষণা করা কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, বুয়েট অধ্যাপক ড. মো এহসান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পিঅ্যান্ডডি) মো. শহীদুল ইসলাম, ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী (পরিচালক) মো. আবদুল মজিদ, বিপিডিবির সিস্টেম প্রটেকশন ও টেস্টিং কমিশনিং সেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, পিজিসিবি ট্রান্সমিশন-১ এর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল কবির ও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে বিকাল ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা ও বরিশালের জেলাগুলো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের আমিন বাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় এই গ্রিড বিপর্যয় হয়। গোপালগঞ্জের আমিন বাজার লাইনটি রামপাল ও পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চালনকেন্দ্র। তবে ঘণ্টাখানেক পরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যায়ক্রমে শুরু হয়। অবশ্য বিভিন্ন জেলায় রাত ৯টার মধ্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।