News update
  • US Issues Travel Alert for Bangladesh Ahead of Election     |     
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     

আইনসঙ্গত ও নিরাপদ মোবাইল ব্যবহার নিশ্চিতকরণে এনইআইআর দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন

এমআইওবি এর সংবাদ সম্মেলন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-12-08, 9:05pm

erwe443-1285133c5e5df559c5a0fb3546ede3911765206330.jpg




‘মোবাইল উৎপাদন শিল্পে সিন্ডিকেট থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী, যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে।’

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিরাপত্তাহীন ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়ে। এজন্য এনইআইআর দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ‘ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর)নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এনইআইআর বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন এমআইওবি এর সভাপতি জাকারিয়া শহীদ।

তিনি বলেন, অর্থনীতির ভাষায় এ বাজার পারফেক্টলি কম্পিটিটিভ, যেখানে বহু প্রতিষ্ঠান, উন্মুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার এবং শক্তিশালী প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। তাই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা সিন্ডিকেশন-এর অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মোবাইল শিল্প বর্তমানে ১৮টি উৎপাদনকারী কারখানার সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগ এবং ৫০ হাজার দক্ষ শ্রমিকের সরাসরি, পাশাপাশি ডিলার, ডিএসআর, সার্ভিস ও খুচরা বিক্রয়সহ ৫০ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক সক্রিয়ভাবে যুক্ত।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ লাখ স্মার্টফোন ও ২৫ লাখ ফিচার ফোন, যদিও গ্রে মার্কেটের চাপের কারণে এখনও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে বাজারের আকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, যেখানে রয়েছে ২০ হাজার রিটেইল পয়েন্ট এবং ৫ হাজার শীর্ষ রিটেইলার। শিল্পটি বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি কর, ৫০০ কোটি টাকার মজুরি এবং ৪০০ কোটি টাকার ইউটিলিটি বিল প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘এনইআইআর সিস্টেম না থাকাতে আমরা গ্রে মার্কেট প্রভাবের কারণে হাই-এন্ড ফোন বাজার লোকালি প্রোডাকশন করতে পারি না। আমরাও হাই-এন্ড ফোন প্রোডাকশন করতে পারব এবং যেই প্রাইসে এখন আপনারা পাচ্ছেন তার কাছাকাছি মূল্যে আমরা যে কোন ফোন আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারব। তাই এখন যেই ভ্রান্ত ধারণাটি ছড়ানো হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে ফোনের দাম বাড়বে সেটি শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থের সংরক্ষণের জন্যই বলা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়; নিরাপত্তাহীন ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো হোয়াইটলিস্টেড আইএমইআই যদি এনইআইআর থেকে ডেরেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় তা খুব সহজেই নিয়ম মেনে বিক্রি করা যাবে। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি বৈধ রিফারবিশ ফোন বেচাকেনাতে কোন বাধা থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি মহল বিদেশ থেকে ব্যবহৃত ফোন এনে নতুন হিসেবে অথবা প্রিঅওনড হিসেবে বিক্রি করে। অনেকে না বুঝেই ফোন করলে কে নতুন হিসাবে কেনে যা ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে আমরা লোকালই হাই-এন্ড ফোন প্রডিউস করবো সেই ক্ষেত্রে আপনারা সঠিক মূল্যে নতুন ফোন পাবেন এবং আপনাদের রিফারবিশ ফোন আর কিনতে হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমআইওবির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক বিপ্লব, স্মার্ট হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, এক্সেল টেকনোলজিসের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন টিপু, ভিভোর প্রতিনিধি ইমাম উদ্দিন, সেলেক্সট্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ডিস্ট্রিবিউটার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কাপুড়িয়া।