আজকের যুগে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। ব্যাংকিং, অনলাইন শপিং, ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ও দরকারি তথ্য সবকিছুই এখন ফোন বা কম্পিউটারে জমা থাকে। ফলে হ্যাকারদের অন্যতম প্রধান টার্গেটও হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ডিভাইসগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য সচেতনতা আর কিছু অভ্যাস বদলালেই সহজেই হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
.পাসওয়ার্ডে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন (@, #, &) ব্যবহার করুন।
.প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড সেট করুন।
.পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা কমবে।
নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট
.অনেকেই আপডেট এড়িয়ে যান। কিন্তু পুরনো সফটওয়্যারে নিরাপত্তার ফাঁক থাকতে পারে, যা হ্যাকাররা সহজেই কাজে লাগাতে পারে। তাই প্রতিবার আপডেট আসলে সেটি ইনস্টল করা জরুরি।
.অনলাইনে সতর্ক থাকুন
.অপরিচিত লিঙ্ক বা মেসেজে কখনো ক্লিক করবেন না।
.পরিচিতজন লিঙ্ক পাঠালেও নিশ্চিত হয়ে নিন সেটি সত্যিই তার পাঠানো কি না।
.অজানা অ্যাপ ইনস্টল করার আগে রিভিউ ও পারমিশন ভালো করে যাচাই করুন।
অতিরিক্ত টিপস
.টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু করুন।
.ফ্রি Wi-Fi ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
.অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিভাইস সুরক্ষিত রাখা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে অসচেতন হলে ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে আর্থিক নিরাপত্তা সবকিছু হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার হোক আরও নিরাপদ ও সচেতনভাবে। আরটিভি/