News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

পর্যটক বান্ধব কুয়াকাটা গড়ার অভিযান চালানোর পর বিপাকে ইউএনও

প্রশাসন 2025-06-04, 11:49pm

kalapara-uno-md-rabiul-islam-818045724c03d339aa3e696db52999971749059380.jpg

Kalapara UNO Md Rabiul Islam



পটুয়াখালী: কুয়াকাটাকে পর্যটক বান্ধব কুয়াকাটা হিসেবে গড়ে তুলতে অভিযান চালানোর পর বিপাকে পড়েছেন ইউএনও। সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ছবি তুলে জিম্মি করা সহ গোসলরত অবস্থায় পর্যটকদের ব্রিবতকর ছবি তুলে স্টুডিওতে নিয়ে প্রিন্ট কিংবা সরবরাহের নামে ইচ্ছেমত টাকা আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর ইউএনও'র অপসারন দাবীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলনে নামেন ফটোগ্রাফার, ষ্টুডিও মালিক, কর্মচারীরা। তারা ঝাড়ু প্রদর্শন সহ আপত্তিকর শ্লোগান দিয়ে ইউএনও'র অপসারন দাবী করে আজ বুধবার সকালেও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন কাওসার হাওলাদার, দোজাহান শেখ, সোহেল, ওসমান, ফিরোজ প্রমূখ।

এর আগে (৩ জুন) মঙ্গলবার শেষ বিকেলে অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসীন সাদেক। তাকে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। অভিযানে কুয়াকাটা সৈকতের পাশে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক স্টুডিওগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব স্টুডিও থেকে ক্যামেরা, প্রিন্টার, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর স্টুডিও মালিক, ক্যামেরাম্যান ও কর্মচারীরা কুয়াকাটা চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা ঝাড়ু হাতে নিয়ে ইউএনওর অপসারণ দাবি করেন এবং ক্ষতিপূরণসহ জব্দ করা মালামাল ফেরতের দাবি জানান।

এ বিষয়ে কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'অনেক পর্যটকের অভিযোগের ভিত্তিতে অনেক আগেই বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল স্টুডিওগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। বিচ এলাকায় একটি সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যারা পর্যটকদের জিম্মি করে টাকা আদায় করছে। এখন থেকে প্রত্যেক ক্যামেরাম্যান বিচে স্বাধীনভাবে ছবি তুলতে পারবে এবং ক্যাবল বা মেমোরির মাধ্যমে পর্যটকদের কাছে তা সরবরাহ করবে। স্টুডিও নামক মধ্যস্বত্বভোগীদের আর কোনো ভূমিকা থাকবে না।'

তিনি আরও বলেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব নিয়ম মানা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পর্যটকদের স্বস্তি ফেরাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এদিকে সৈকতে নামার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক ক্যামেরাম্যান ঘিরে ধরে পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য চাপ দেয়। কেউ ছবি তুললে তাকে জোর করে স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সব ছবি নিতে বাধ্য করা হয়। নির্ধারিত অঙ্কের চেয়েও বেশি টাকা আদায় করা হয়। এমনকি, কেউ কেউ গোপনে গোসলরত অবস্থায়ও ছবি তোলে, যা পর্যটকদের জন্য দারুণ বিব্রতকর। এ নিয়ে দু'এক জন ফটোগ্রাফার গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা কমেন্ট। তবে অধিকাংশ মানুষই প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং কুয়াকাটার পরিবেশ রক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

উল্লেখ্য, গত তিন মাসে কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যার অন্যতম কারণ হিসেবে পর্যটকদের হয়রানি, জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ। - গোফরান পলাশ