
পর্যটন প্রেমীদের জন্য সুখবর! ২০২৬ সালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সেরা ২৫টি স্থানের নাম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। বিভিন্ন উৎসব, পরিবেশগত উদ্যোগ এবং বিশেষ ঐতিহাসিক বা সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে স্থানগুলো এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। চলুন, জেনে নিই বিশ্বসেরা গন্তব্যগুলো সম্পর্কে।
ইউরোপের গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডলোমিতি, মিলান, ইতালি। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ইতালির মিলান ও কর্টিনা ডি’আম্পেজো শহরে শীতকালীন অলিম্পিক প্যারালিম্পিকের আসর বসবে। ইউনেসকো তালিকাভুক্ত বেইজিং সেন্ট্রাল অ্যাক্সিসসহ প্রাচীন নগরীর ঐতিহ্য ঘুরে দেখার নতুন সুযোগ মিলবে বেইজিং, চীন-এ।
রাবাত, মরক্কো-কে ২০২৬ সালের জন্য ইউনেসকো বিশ্ব বইয়ের রাজধানী ঘোষণা করেছে। প্রাচীন ঐতিহ্যের পাশাপাশি এই শহরে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। হাল, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড ৮০০ বছরের সামুদ্রিক ঐতিহ্যকে ঘিরে নতুন রূপে সাজছে। খিভা, উজবেকিস্তান-এ আগামী শরতে চালু হতে যাওয়া হাই-স্পিড ট্রেন তাসখন্দ থেকে খিভা যাত্রার সময়কে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনবে।
জনাকীর্ণ এজিয়ান ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের একটি মনোরম এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ বিকল্প হলো কৃষ্ণসাগর উপকূল, তুরস্ক। আদিবাসী সামি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য, শিল্প উৎসব, নর্দান লাইটস বা মেরুজ্যোতি এবং আর্কটিক খাবারের জন্য ওলু, ফিনল্যান্ড অনন্য।
২০২৬ সালে ইউরোপের সবুজ রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাবে গিমারেস, পর্তুগাল, যেখানে রয়েছে মধ্যযুগীয় দুর্গ ও প্রাচীন প্রাসাদ। অন্যদিকে, ২০২৬ সালের ১২ আগস্ট পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য অনেক পর্যটক যাবেন বাস্ক কান্ট্রি, স্পেন-এ।
উত্তর আমেরিকার আকর্ষণগুলোর মধ্যে কুইবেক, কানাডায় বন্য প্রাণীদের জন্য আদিবাসীদের দ্বারা পরিচালিত নিবিশচি ন্যাশনাল পার্ক প্রকৃতি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাবে। ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা ২০২৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচের আয়োজন করবে। ফুটবলপ্রেমীরা এই শহরে ভিড় করবেন। নর্থ ডাকোটা ব্যাডল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র-এ জুলাই ২০২৬-এ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে থিওডোর রুজভেল্ট প্রেসিডেনসিয়াল লাইব্রেরি।
রুট ৬৬: ওকলাহোমা, যুক্তরাষ্ট্র-এ ৩ হাজার ৯৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের শতবর্ষ উদ্যাপন হবে। ২০২৩ সালের দাবানলের পোড়া দ্বীপ মাউই, হাওয়াই, যুক্তরাষ্ট্র এখন পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং অনেকেই যাবেন এই সৌন্দর্য দেখতে। পিটসবার্গ, পেনসিলভানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র-এর কার্নেগি মিউজিয়াম ও অ্যান্ডি ওয়ারহল মিউজিয়ামের মতো স্থানগুলো পর্যটকদের আগ্রহী করে তুলবে।
এশীয় ও ওশেনিয়ার গন্তব্যগুলোর মধ্যে ম্যানিলা, ফিলিপাইন ২০২৬ সালে বৈচিত্র্যময় খাবারের এক মনোমুগ্ধকর ভ্রমণস্থান হতে পারে। জাপানের টোকিও থেকে প্রায় ২০০ মাইল উত্তরে অবস্থিত ইয়ামাগাতা, জাপান-এর অপরূপ পাহাড় ও গ্রাম এ বছর অনেক ভ্রমণপিপাসুকে আকর্ষণ করবে। উলুরু-কাতা জুতা জাতীয় উদ্যান, অস্ট্রেলিয়াতে এপ্রিল ২০২৬ থেকে ভ্রমণকারীরা রাতযাপন ও গাইডেড ট্রেকে অংশ নিতে পারবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় স্পেনের কামিনো দে সান্তিয়াগোর আদলে তৈরি ৫২৭ মাইল দীর্ঘ দংসিও ট্রেইলের একটি অংশ খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শত শত প্রবালদ্বীপের দেশ ফিজি টেকসই পর্যটনের দিকে এগোচ্ছে।
লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের মধ্যে ক্যারিবীয় দেশ ডোমিনিকা বিশ্বের প্রথম স্পার্ম তিমি সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে। পাশাপাশি এর রেইনফরেস্ট আর ঝরনা মুগ্ধ করবে ভ্রমণপিপাসুদের। পুড়ে যাওয়া ব্রাজিলের জাতীয় জাদুঘর আংশিকভাবে আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল-এ।
২০২৬ সালে কোস্টা চিকা, মেক্সিকো-এর শান্ত সৈকতে সার্ফিয়ের অভিজ্ঞতা পর্যটকদের জন্য নতুন রোমাঞ্চ নিয়ে আসবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলম্বিয়ার মেডেলিন, কলম্বিয়া শহরে মেডেলিন স্ট্রিট আর্ট ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে।
আফ্রিকার আকর্ষণীয় গন্তব্য হলো আকাগেরা জাতীয় উদ্যান, রুয়ান্ডা। রুয়ান্ডার পূর্ব সীমান্তে বিস্তৃত এই উদ্যান সাফারির অভিজ্ঞতার জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।