পুরো রমজান মাসজুড়েই পর্যটকশূন্য ছিল পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। তবে আশা করা হচ্ছে, ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের বরণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এই লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
এদিকে, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে।
পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেলগুলো সেজেছে রঙিন সাজে। সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে যাতায়াতের পথগুলোতে। রঙিন হচ্ছে প্রতিটি হোটেলের কক্ষগুলো। প্রতিটি আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট নেমেছে পর্যটক আকর্ষণের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পর্যটকদের চাপ হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল কেএম জহির খান জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা এবং যেকোনও হয়রানি বন্ধে আমরা প্রস্তুত। প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের ট্যুর গাইডের সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণ সহযোগিতায় কাজ করবে।
সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের এ জি এম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, আমাদের রিসোর্টে ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র এখন পর্যন্ত বেশ বুকিংয়ের ফোন আসছে। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকড হয় গেছে। আশা করছি, বাকি দিনগুলোতে আমরা পুরোপুরি বুকিং পাবো। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ইতোমধ্যে আমরা সুইমিংসহ হোটেলের বাড়তি সৌন্দর্যবর্ধন শেষ করেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে। আরটিভি