Three Kolapa shops gutted in fire. Loss estimated at Taka 40 lakh
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের মম্বীপাড়া নতুনবাজার গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকান ভস্মীভূত ও দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার দিবাগত ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম নেছার উদ্দিন ফজরের আযান দেওয়ার সময় আগুনের লেলিহান শিখা দেখে মাইকযোগে এলাকাবাসীকে ডাকেন। পরে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় এবং খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে।
মসজিদের মোয়াজ্জেম নেছার উদ্দিন বলেন, ভোররাতে মসজিদে আযান দেওয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের কাছাকাছি এলে দোকানে আগুন জলে দেখতে পেয়ে মসজিদের মাইক দিয়ে স্থায়ীনিয়োদের খবর দেই। নতুনপাড়া বাজারে তিনটি দোকান একেবারেই পুড়ে গেছে। মসজিদের দেয়ালে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এবং দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কাপড় ও জুতা-কসমেটিক্সের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।
আল-আমিন ইলেকট্রনিক্সের মালিক আল-আমিন বলেন, “আমার দোকানে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি হতো। পুরোপুরি পুড়ে গেছে—প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। ঋণ করে দোকান দিয়েছিলাম, এখন পথে বসেছি।
অন্যদিকে মুদি মনোহারি দোকানি মো. বাচ্চু বলেন, আগুনে পুড়ে আমার দোকানের ৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, রাত সাড়ে চারটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে, তবে আশপাশের দোকানগুলো রক্ষা পেয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউছার হামিদ বলেন, ঘটনাস্থলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন সাদেককে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু টিন ও নগদ টাকা দেয়া হবে। পরিদর্শন রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হবে। - গোফরান পলাশ