বাড়ানোর সুপারিশ
ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ে অব্যাহত শুল্ক-কর রেয়াত চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
বাণিজ্য ডেস্ক
২ মিনিটে পড়ুন
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল, অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে আগামী ৩১ মার্চ শুল্ক-করের রেয়াতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ভোজ্যতেলের (সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা) দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ বাড়ানোর জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনের মেয়াদটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলে সার্বিকভাবে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ হিসেবে স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল থাকবে এবং ভোক্তাসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে মর্মে কমিশন মনে করে।
এ পরিস্থিতিতে ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য’ ভোজ্যতেলের (সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা) বাজার স্থিতিশীল করতে প্রজ্ঞাপনটির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে ভোজ্যতেলের বৈচিত্র্যকরণের জন্য সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের শুল্ক করাদি সয়াবিন ও পাম তেলের মতো একইরকম করার জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২-এর ৭(১) ও ৭(৪) ধারা অনুযায়ী এই সুপারিশ করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সময়