News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

বাজারে বৈশাখী হাওয়ায় বেড়েছে ইলিশ-পোলট্রি মুরগির দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-04-13, 10:12am

oifuioioiweo-3de2554543332a7ffb93a93c0f8ec2b61712981560.jpg




ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। ফলে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর বাজারগুলো। একদিন পরই বাংলা নববর্ষ। ঈদ ও নববর্ষ এই দুই উৎসব ঘিরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের চাহিদা ও দাম উভয়ই বেড়েছে। বর্তমানে ইলিশ ধরা পড়ছে কম; বাজারে এর সরবরাহ কমেছে। খুচরা বাজারেই ইলিশের দাম বাড়তি। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও মিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আর কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির দাম। জাটকা ও ১ কেজির কম ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। বড় ইলিশ নেই বললেই চলে।প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা, আর ১০০০ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০-৬০০ গ্রাম ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুরের ১১ নম্বর, ৬ নম্বর ও মুসলিম বাজারে কয়েকটি মাছের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছ বিক্রি হচ্ছে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা ছিল কম।

৬ নম্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে মানুষ শহরে না থাকায় শুক্রবারও বাজারে ক্রেতা নেই। যে কয়েকটি দোকান খোলা আছে সেগুলোতেও তেমন পণ্য নেই। তারা দোকানে অলস সময় পার করছেন।

চাঁদ রাতে ২৫০ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও ১ দিনের ব্যবধানে, কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে এর দাম। মুসলিম বাজারে এক বিক্রেতা বলেন, আজকে মুরগি আসে নাই, অল্প কয়েকটা মুরগি আছে। রেট ২৬০ টাকা, পরিচিতদের কাছে ২৫০ টাকায় ও বিক্রি করছি।

এছাড়া লাল লেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ২০-৩০ টাকা। প্রতিকেজি লাল লেয়ার ৩৮০ টাকা, আর সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১১৫০-১২০০ টাকা ও প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০টাকায়।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবুর জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায় ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আনিস বলেন, ঈদের কারণে সবজির ট্রাক আসেনি। ফলে আগের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই দাম বেড়েছে।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকায় ও আমদানিকৃত রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ বাজারেই নেই মাছ। ঈদের কারণে মাছ আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে যাও এসেছে, সেগুলোর দামও চড়া। সূত্র আরটিভি নিউজ।