News update
  • US Issues Travel Alert for Bangladesh Ahead of Election     |     
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     

হাদি হত্যাচেষ্টা, সেই দাউদকে নিয়ে ফাঁস হলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-12-14, 6:05pm

eqweqweqw-a74bed2ff5c0529bea188f5eb6527f951765713935.jpg




ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করেছে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান 'দ্য ডিসেন্ট'। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রকাশিত ছবির সঙ্গে রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের হুবহু মিল রয়েছে।

নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে দ্য ডিসেন্ট জানায়, তারা ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, ১২ ডিসেম্বর হামলার সময় পুলিশের সংগৃহীত ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং ফয়সাল করিম মাসুদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টসহ আওয়ামী লীগপন্থী বিভিন্ন পেইজ ও প্রোফাইলে থাকা ৫০টিরও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করেছে। এসব পর্যালোচনায় দেখা যায়, মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদির ওপর গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের চেহারা মিলে যাচ্ছে।

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, সন্দেহভাজন এই ফয়সাল আদাবর এলাকার একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের মূলহোতা। অস্ত্র ও ডাকাতির মামলায় এর আগেও তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আদাবর থানায় অস্ত্র আইনের মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ঢাকার পৃথক আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, আসামি ফয়সালের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় দুটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে অস্ত্র মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে এবং ১৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এই দুই মামলাতেই আসামি জামিনে রয়েছেন।

ছিনতাইয়ের মামলা

২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর ব্যবসায়িক কাজের উদ্দেশ্যে আদাবর এলাকায় আসামি ফয়সালের অফিসে যান ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম। ওইদিন দুপুর ২টার দিকে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন ফয়সাল। এ ঘটনায় ওই বছরের ১ নভেম্বর সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে গত ৭ সেপ্টেম্বর ফয়সালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক মনমথ হালদার। গত ১২ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগ আমলে নেন এবং মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অস্ত্র আইনে মামলা

২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আদাবর থানাধীন এলাকা থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে গুলি ও ম্যাগাজিনসহ দুটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‍্যাব-২ এর হাবিলদার মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে আদাবর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।

তদন্ত শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আদাবর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় আসামি ফয়সালের বিচারপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ১৮তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। গত ১৭ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন আসামি ফয়সাল আদালতে হাজিরা দিলেও সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন না। ফলে আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আসামি ফয়সাল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এবং এরপর কারামুক্ত হন।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জানান, প্রকৃত অর্থেই যদি আদাবর থানার দুই মামলায় আসামি ফয়সাল ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করে, তাহলে আদালত তার জামিন বাতিল করতে পারে। কারণ কেউ জামিনে গিয়ে একই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। 

এ সময় প্রসিকিউটর অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের দুই মামলায় আসামি ফয়সালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির মাথায় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তিনি রাজধানীর এভাকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেলযোগে এসে হাদিকে গুলি করার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজন ফয়সালকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।