News update
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     

ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-02-21, 9:54am

img_20250221_095017-07fd4fce725eb3deac84dbcaeab6da021740110051.jpg




মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপ্রধান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ভাষা বীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এর আগে, কড়া নিরাপত্তায় রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর শহীদ মিনার এলাকায় আসার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী-জনতা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’  শ্লোগান দেওয়া শুরু করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, জুলাই গণহত্যাকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্বৈরাচার হাসিনার সকল অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন করে জুলাই গণহত্যার সুযোগ তৈরি করেছেন দিয়েছেন তিনি। এমনকি জুলাই বিপ্লবেও শেখ হাসিনার হাজারো ছাত্রজনতার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব তিনি।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, চুপ্পুর সামনে পদত্যাগ করে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই চুপ্পু ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে শপথ পড়িয়ে, তার সব অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন দিয়েছিল। এমনকি শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে জুলাই বিপ্লবেও দেশে গণহত্যার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এই চুপ্পুর শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানানো ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই না। 

প্রসঙ্গত, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হরতালের ডাক দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদও। হরতাল প্রতিহত করতে তৎকালীন সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় ছাত্রসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাবি আমতলার সমাবেশে এ বিষয়ে উপস্থিত ছাত্রদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে রাতেই অনেক ছাত্রনেতা পরের দিন ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রদের পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় প্রথম ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। এতে ছাত্ররা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেল ৪টায় মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন রফিকউদ্দিন আহমদ। রাত ৮টার পরে আহতদের মধ্যে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল বরকত এবং গফরগাঁওয়ের আব্দুল জব্বার।