News update
  • COP30 under difficult conditions     |     
  • Political parties who signed 'Historic July Charter'     |     
  • যা আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়       |     
  • Climate Crisis Fuels Hunger, Migration, and Global Instability     |     
  • Trump, Putin to Meet in Budapest After ‘Productive’ Call     |     

চাকসু নির্বাচন: ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতেই শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-10-16, 8:48am

img_20251016_084832-e98c0ce1faf811bdeb837cc39d21bd771760583027.jpg




চার দশকেরও বেশি সময় পর আবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (চাকসু) নেতৃত্বে ফিরল ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ এবার সপ্তম চাকসু নির্বাচনে ভিপি-জিএসসহ মোট ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল এবং ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহ ও অংশগ্রহণে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।

ভিপি (সহসভাপতি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সাজ্জাত হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।

২৬টি পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে শুধুমাত্র এজিএস (সহসাধারণ সম্পাদক) পদে জয় এসেছে। আইয়ুবুর রহমান এই পদে ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাজ্জাত হোছন, যিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

এছাড়া, সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন তামান্না মাহবুব নামের এক ছাত্রী। তার বিজয়ও এবারের নির্বাচনে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ছাত্রশিবির সর্বশেষ বিজয়ী হয়েছিল ১৯৮১ সালের চাকসু নির্বাচনে। সেবার ভিপি হয়েছিলেন জসিম উদ্দিন সরকার এবং জিএস হয়েছিলেন আবদুল গাফফার। দুজনই শিবিরের তৎকালীন নেতা ছিলেন।

তারপর দীর্ঘ ৪৪ বছর ছাত্রশিবির নেতৃত্বের বাইরে থাকলেও এবারের নির্বাচনে তারা আবারও চাকসুর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে, যা সংগঠনটির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।