News update
  • Dhaka’s air world’s worst Wednesday morning     |     
  • Investigation on 330 enforced disappearance victims not yet back     |     
  • Shake-up in administration: AL-era officials under surveillance     |     
  • Volker Türk presenting UN fact-finding report on BD in Geneva     |     
  • Food prices soar as Israel blocks aid into Gaza     |     

হোয়াইট হাউজের ঘটনায় জেলেনস্কির দুঃখ প্রকাশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-03-05, 7:33am

rtwewer-9150a3acd4221749140f260e1f870e6a1741138434.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের বৈঠকে বাগবিতণ্ডা হওয়াকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘বলিষ্ঠ নেতৃত্বের’ অধীন যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে কাজ করতে প্রস্তুত ইউক্রেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। তবে ভলোদিমির জেলেনস্কি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।

বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে শুক্রবার আমাদের বৈঠক যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। এভাবে ঘটনাটি হওয়াটা দুঃখজনক। এখন সঠিক কাজ করার সময়। আমার টিম ও আমি প্রস্তুত রয়েছি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধীন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে, যেটা স্থায়ী হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেন যেকোনো সময় এবং যেকোনো শর্তে নিরাপত্তা ও খনিজ চুক্তি করতেও রাজি আছে বলে জানান তিনি। 

ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা ও যোগাযোগ রাখতে কিয়েভ আগ্রহী জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য আমেরিকা যেভাবে ভূমিকা রেখেছে, তা সত্যিকারে আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। তিনি আরও বলেন, আমাদের কেউ একটি নিরন্তর যুদ্ধ চাই না। শান্তি প্রতিষ্ঠায় যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতার টেবিলে বসতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে। ইউক্রেনিয়ানরা শান্তির জন্য যতটা মুখিয়ে আছেন, তার চেয়ে বেশি অন্য কেউ নন।

এর আগে, গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠকের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ওই বৈঠক শেষে দুই প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। 

এ ছাড়া, ইউক্রেনের বিরল খনিজ পদার্থ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। এই বৈঠকের পর ওই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এরপর ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

রাশিয়া–ইউক্রেন সংকট ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ পদক্ষেপ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করায় দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন স্পষ্ট হয়েছে এবং এতে মস্কোর পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। আরটিভি