News update
  • WHO’s Saima Wazed placed on indefinite leave amid graft probe     |     
  • UNRWA Commissioner-Gen. on Gaza: 800 starving people killed     |     
  • 150,000 Rohingya flee to BD amid renewed Myanmar violence     |     
  • Scrap trader hacked, stoned dead: 2 Jubo Dal men expelled      |     
  • Bonn Climate Talks Expose Urgent Gaps in Global Action     |     

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হবে কবে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক হাসপাতাল 2025-03-14, 7:57am

07c2451d97d6f794be5c1f1ba548cebabf4047d57c1aed51-7ed15c9b4c87890992f47a1ee1f4a0c01741917440.jpg




প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি আলোর মুখ দেখেনি। নানা জটিলতার বেড়াজালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে ১০তলা বিশিষ্ট ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবন নির্মাণ প্রকল্প।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক সফরে কক্সবাজার আসছেন। তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ সফরকে ঘিরে ১৭ বছর ধরে আটকে থাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত শুরু করা এবং হাসপাতাল চালুর দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। 

এ উপলক্ষে চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি ছোট ইউনিটে ২০০৮-২০০৯ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে কমেকের যাত্রা। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের নভেম্বরের শুরুতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কমেক হাসপাতাল ঘোষণা করে। এরপর ২০১১ সালের কক্সবাজার শহরের প্রবেশ জানারঘোনা এলাকায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণ শুরু হয়। 

২০১৭ সালে ওই স্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজ কার্যক্রম চলছে। ওই ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজারে সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি ভবন নির্মাণ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) কারণে কমেকের হাসপাতাল নির্মাণটি আটকে রয়েছে। বৈদেশিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। সবশেষ ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বরে প্রকল্পটি নির্মাণ ক্রয় রিভিউ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরে পাঠায়। ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীর গণপূর্ত অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলীর সভাপতিত্বে রিভিউ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রিভিউ প্রস্তাবটি সিসিডিপি অনুমোদনের জন্য গত ২৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও ওখানে আটকে রয়েছে ওই প্রকল্প।

ফলে শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক সফরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন দ্রুত নির্মাণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৃৃহস্পতিবার দুপুরে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি পেশ শেষে সংবাদ সম্মেলেন তাদের দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপন করেন।

এসময় বক্তারা বলেন, এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে অস্থায়ী কমেক হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ক্লাস নিতে আসতে হচ্ছে। যা চরম ভোগান্তির। কক্সবাজারে বর্তমানে ২৮ লাখ মানুষ। এখানে রয়েছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। ২৫০ শয্যার কক্সবাজার সদর হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার জন্য পর্যাপ্ত না। এখানে রয়েছে নানা সংকটও।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখানে হেমাটেলজি, হেপটোলজি, আপথ্যালমলজি, সাইকিয়াট্রি, নিউরোমেডিসিন, নিউরোসার্জারি, এনআইসিইউসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সংকট রয়েছে। নেই কোনো বিশেষায়িত বার্ণ ইউনিটও। যার জন্য অনেক রোগীকে প্রতিনিয়ত চট্টগ্রামে পাঠাতে গিয়ে মারাও যাচ্ছে।

এপরিস্থিতি দ্রুত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ জরুরি বলে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সভাপতি ডা. হিশাম, শিক্ষার্থী আছিবুল হক, রাহাত হোসাইন, আহসান শাকীক, শাহাদাত হোসেন হৃদয়, ফাহিম হাসান নিলয় প্রমুখ।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের বড় ইস্যু রোহিঙ্গা সমস্যা। রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবায়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক। তাই কমেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ হলে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের সেবা বাড়বে। চিকিৎসা জট কমবে সদর হাসপাতালে। সময়