News update
  • Khudi Bari in shortlist for Aga Khan Architecture Award     |     
  • During Eid hospitals rest and patients languish sans care     |     
  • Eid-ul-Azha jamaats held across Bangladesh amid religious fervour     |     
  • Israel Kills 42 Palestinians in Gaza on Eid al-Adha     |     
  • WHO Releases Bibliography on Antimicrobial Resistance     |     

পবিত্র ঈদুল আযহায় ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ

রাজনীতি 2025-06-06, 11:46am

islami-juba-andolan-bangladesh-01ecb631a1dfacc562ab4a726ef55e031749188811.jpg

Islami Juba Andolan Bangladesh



ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী শুক্রবার (০৬ জুন) এক যৌথ শুভেচ্ছা বার্তায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত ও তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠন-এর আহ্বান জানিয়েছেন।  

নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পশু কুরবানিকে আল্লাহ ওয়াজিব করেছেন, দ্বীন কায়েমের জন্য জান ও মাল কুরবানিকে আল্লাহ ফরজ করেছেন।

তারা ব্যাখ্যা করেন, এই ঈদ শুধুমাত্র ত্যাগের চেতনাকে উজ্জীবিত করে না, বরং সমাজে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বন্ধন মজবুত করে। হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করতে আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর উপর কুরবানী ওয়াজিব করেছেন, যাতে মানুষ নফসের উপর বিজয়ী হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হয়। কুরবানীর মূল শিক্ষা হলো অহংবোধ বিসর্জন দিয়ে পরিপূর্ণ তাকওয়াবান মুমিন হওয়া।

নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেন, ইক্বামতে দ্বীন কেবল ইবাদতেই সীমিত নয়; এর চূড়ান্ত রূপ রাষ্ট্রে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা। তাই নতুন বাংলাদেশে দলমত-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে কোরআনের বিধান প্রবর্তনে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

তারা অভিমত ব্যক্ত করেন, দেশবাসী আওয়ামী অপশাসনের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। এই স্বপ্ন পূরণে জনগণের প্রত্যাশার পক্ষে দাঁড়ানো জরুরি। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে কেবল নির্বাচন করলে পরাজিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। সন্ত্রাস ও আধিপত্যবাদ ছেড়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

পবিত্র কুরআনের বাণী "বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে" উদ্ধৃত করে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, ঈদুল আযহা আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। বাস্তব জীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সমাজ গঠন করলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব।

তারা হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানসহ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্য সচেতনতার সাথে ঈদ উদযাপনের অনুরোধ জানান।