অভ্যুত্থানকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে চলতি সপ্তাহেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। তরুণদের এ দলে বাড়তে পারে শীর্ষ পদের সংখ্যা। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। শীর্ষ পদ নিয়ে মতপার্থক্যের বিষয়ে কেউ কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও ছাত্রনেতারা বলছেন, দলের মধ্যে বিভক্তি নেই, আছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা।
সম্প্রতি সময় সংবাদের সরেজমিন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কয়েক দিনের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দল। শুরুতে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র-এ চারটিকে শীর্ষ পদ হিসেবে রেখে দল গঠনের কথা ভাবা হয়। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মধ্যেই সাবেক ছাত্রশিবিরের কয়েকজন শীর্ষ পদের দাবিদার হওয়ায় বাড়তি আরও দুটি পদ তৈরির আলোচনা তুঙ্গে। শীর্ষ পদের সংখ্যা বাড়ানোর আভাস দিয়েছেন দলের নেতারাও। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সময় সংবাদকে বলেন, সুপার ফোর, সুপার সিক্স বা টেন কিংবা ১৫ থেকে ২০ সদস্যের যদি প্রথমে ছোট ফোরাম করা যায়। মূলত নানা ধরনের আলোচনা এখনও চলমান রয়েছে। এখনও অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ছাত্রশিবিরের সাবেক একাধিক নেতা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও তারা জানান, দলটির সাবেক কয়েকজন নেতা যুক্ত হচ্ছেন না নতুন রাজনৈতিক দলে।
তারা বলছেন, দল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতার অভাব থাকায় আলী আহসান জোনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ নতুন দলে যোগ দেবেন না। অন্যদিকে এ তিনজনের কার্যক্রমে শৃঙ্খলায় ঘাটতি এবং ফেসবুকে দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন।
নতুন দল নিয়ে কারও কারও ফেসবুক স্ট্যাটাসে শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েনের গুঞ্জন উঠেছে। তবে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা জানান, বিভক্তি নেই আছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আকরাম হুসাইন সিএফ বলেন, এত বড় একটা দল নিয়ে বিভিন্নজন প্রতিযোগিতা করবে, কথা বলবে এই কথাটাকেই অনেকে বিভাজন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। আমরা এটাকে বলি প্রতিযোগিতারই অংশ।
দলটির আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের নাম মোটামুটি চূড়ান্ত। দল ঘোষণার আগেই উপদেষ্টার পদ ছাড়বেন তিনি। সদস্য সচিবের দৌড়ে এগিয়ে আখতার হোসেন। বাকি পদের দাবিদার কয়েকজন। বাকি শীর্ষ পদগুলোতে কারা থাকছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তালিকায় আছেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী।
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে নতুন দল গঠনের ঘোষণা আসতে পারে ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই। অভ্যন্তরীণ এক সভায় চূড়ান্ত হবে দলীয় সিদ্ধান্ত।