News update
  • Stock market: DSE fails to sustain early gains, CSE extends rally     |     
  • Illegal arms, disinformation pose major challenges to BD polls: Officials     |     
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     

দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ভারতীয় কর কর্তৃপক্ষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2023-02-15, 9:28am

images-2-038b857f401d483ef27b115d9cd5c9bd1676431705.jpeg




প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির একটি ডকুমেন্টারিকে ভারত সরকার “প্রোপাগান্ডা” আখ্যায়িত করার কয়েক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার, নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে কর কর্মকর্তারা।

ডকুমেন্টারি “ইন্ডিয়াঃ দ্য মোদি কোশ্চেন,”২০০২ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উপর ভিত্তি করে তৈরি। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ১ হাজার মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান ছিল। সে সময় মোদি ঐ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিবিসি জানিয়েছে, তারা “বর্তমানে” নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ের বিবিসি অফিসে অবস্থানরত আয়কর কর্মকর্তাদের “পুরোপুরি সহযোগিতা” করছে।

বিবিসি বলেছে, "আমরা আশা করি যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতির সমাধান হবে।

অভ্যন্তরীণ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ বিবিসি কর্মীদের ফোন জব্দ করেছে।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া এই পদক্ষেপকে "ট্যাক্স জরিপ"বলে অভিহিত করে সাংবাদিকদের বলেন, “আপনি যদি দেশের আইন মেনে চলেন, আপনার যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী করা কোন কাজকে ভয় পাবেন কেন?”

বিবিসির বিরুদ্ধে “ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ নিয়ে কাজ করার কলঙ্কিত ও কালো ইতিহাস” রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভাটিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, "এটা বলা ভুল হবে না যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং হাস্যকর প্রতিষ্ঠান।“

তিনি আরও বলেন, যে সব গণমাধ্যমের “গোপন এজেন্ডা” রয়েছে এবং “বিষ ছড়াচ্ছে” এদের সহ্য করা হবে না।

সম্প্রচারকেন্দ্রটি কেন দুই দশক পুরানো একটি বিষয় বেছে নিয়েছে, সে কারণে ডকুমেন্টারিটি বিজেপি এবং মোদির সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে।

তথ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বিবিসি প্রাপ্ত একটি অপ্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে দাঙ্গার সময় মোদির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় এবং দাবি করা হয় যে সহিংসতার "দায়মুক্তির পরিবেশের" জন্য তিনি "সরাসরি দায়ী"।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, চলচ্চিত্রটিতে “বস্তুনিষ্ঠতার অভাব” রয়েছে এবং এটিকে “বিশেষভাবে ভিত্তিহীন আখ্যানকে বাড়িয়ে বলার জন্য তৈরি একটি প্রচারণামূলক কাজ ” বলে অভিহিত করা হয়েছে। বিবিসি দাবী করেছে, এটি “কঠোরভাবে গবেষণা” করা হয়েছে এবং এতে বিবিসির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামত রয়েছে।

ভারতের মিডিয়া গ্রুপগুলির প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলি মঙ্গলবার বিবিসি অফিসে অনুসন্ধানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।