News update
  • Polls in early next year: Prof Yunus tells Marco Rubio      |     
  • Bangladesh’s Apparel Exports to US Hit $7.34bn in Decade     |     
  • UN Chief Urges Urgent Aid Boost Amid Global Crises     |     
  • Bamboo brings new life to Madaripur’s barren lands     |     
  • Iran nuke program set back years with airstrikes: CIA says     |     

এনবিআরের শাটডাউনে ক্ষতি কয়েক হাজার কোটি টাকা!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-06-30, 10:03am

b49f591fc93a54aef7100dd01ce52537a4544130226acfe9-a5c95bdb832faa1c48b01b1aeeabd63f1751256202.png




শুল্ক বিভাগের টানা কলম বিরতির পাশাপাশি দুই দিনের কমপ্লিট শাটডাউনে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। আমদানি করা কাঁচামালের শুল্কায়ন যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি রফতানি পণ্য জাহাজীকরণে ছিল জটিলতা। সেইসঙ্গে কাস্টমস ছাড়পত্র না থাকায় পণ্যবাহী মাদার ভ্যাসেলের বন্দরের জেটিতে আসা কিংবা বন্দর ছাড়'ও আটকে ছিল। তবে ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও এর জের আরও কয়েক সপ্তাহ টানতে হবে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯৩ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যেমন হয়, তেমনি আমদানি-রফতানি পণ্যের শুল্কায়ন থেকে শুরু করে ছাড় করার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কাস্টম বিভাগ। কিন্তু গত এক মাস ধরেই চলছে গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থার নানা কর্মসূচি। প্রথমদিকে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার কলম বিরতি চললেও শনি এবং রোববার (২৯ জুন) ছিল কমপ্লিট শাটডাউন।

আর তাতেই স্থবির হয়ে পড়ে দেশের পুরো আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, জাহাজগুলো বার্থে বসে আছে। এতে বাড়ছে খরচ। পাশাপাশি জাহাজগুলোও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে সাড়ে চার হাজার কনটেইনার ডেলিভারি হলেও রোববার ডেলিভারি হয়েছে মাত্র ১৩৯টি কনটেইনার। এমনকি শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আগে থেকে কনটেইনার বোঝাই জাহাজগুলোও বন্দর ছাড়তে পারেনি। একটি আন্তর্জাতিক শিপিং প্রতিষ্ঠানের একদিনে রফতানি পণ্য বোঝাই ৩টি জাহাজ যেমন বন্দর ছাড়তে পারেনি, তেমনি ভিড়তে পারেনি কাঁচামাল নিয়ে আসা আরো ২টি জাহাজ।

এমএসসি শিপিংয়ের হেড অব অপারেশন আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, যে কোনো সংকট আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে দেয়। এতে ক্ষতি হয় ব্যবসার।

চট্টগ্রাম বন্দর এবং বহির্নোঙরে বর্তমানে ১২৯টি জাহাজ অবস্থান করছে। এরমধ্যে কনটেইনারবাহী ৩১টি জাহাজের মধ্যে ২১টি জাহাজ বন্দরের জেটিতে ভেড়ার অপেক্ষায় বহির্নোঙরে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে শাটডাউনের দুই দিন। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বাল্ক পণ্য বোঝাই অন্যান্য মাদার ভ্যাসেলকেও একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।

অথচ নির্ধারিত সময়ের পর বন্দরে অবস্থানের কারণে মাদার ভ্যাসেলগুলো প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হয় বলে অভিযোগ শিপিং ব্যবসায়ীদের।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল আলম জুয়েল বলেন, আমদানি পণ্য না আসলে ও রফতানি পণ্য না গেলে জাহাজ বসে থাকবে। আর জাহাজ চলাচল না করলে জাহাজগুলোকে মাশুল গুনতে হয়।

তবে এই ধর্মঘটের ফলে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল দেশের তৈরি পোশাক খাতকে। বিশেষ করে আমদানি করা কাঁচামাল আটকে ছিল বন্দরের বিভিন্ন শেডে। একইসঙ্গে জাহাজীকরণ না হওয়ায় রফতানিযোগ্য তৈরি পোশাক আটকা পড়ে অফডকগুলোতে।

ধর্মঘটের দুই দিনে ৫ হাজারের বেশি তৈরি পোশাকবাহী কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়নি বলে দাবি করেছেন গার্মেন্টস মালিকেরা। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, পণ্য আমদানি ও রফতানিতে ধীরগতির কারণে বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। ডেলিভারিতে দেরি হওয়ায় বিদেশি ক্রেতারা এরই মধ্যে পণ্যের দামে ছাড় চেয়েছে। আগামীতে তারা পণ্য অর্ডার করবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস ধারণ ক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে রয়েছে ৪০ হাজার ৭২২ টিইইইউএস কনটেইনার।