অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির সার্বিক অগ্রগতি ও অর্জন সন্তোষজনক। বাংলাদেশ ৫৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করেছে এবং আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। কিন্তু নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা অনেক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, যেগুলোকে মাইলফলক বলা উচিত।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ : পাথওয়েজ টু লিডারশিপ, ইউনিটি অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক এক অনলাইন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শাসনব্যবস্থা, কূটনীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং যুব ক্ষমতায়নে জাতীয় নেতৃবৃন্দদের সংযুক্ত করেছিল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণ করেছি এবং বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছি। বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে ধারাবাহিক সরকার এবং জনগণের প্রচেষ্টার কারণে।’
বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই আমরা কিছু প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বহুল আলোচিত সংস্কার পদক্ষেপ সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সব কিছুর সংস্কার করা সম্ভব হবে না। ‘আমরা এক ধরনের অন্তর্বর্তী সরকার, তবে আমরা জনগণের স্বার্থে কিছু ভালো সংস্কার শুরু করব যাতে আমরা একটি পদক্ষেপ নিতে পারি যা রাজনৈতিক সরকার অনুসরণ করতে পারে।’
উপদেষ্টা জানান, তারা খুব অল্প সময়ের জন্য দায়িত্বে থাকাকালীন সংস্কার আনার চেষ্টা করছেন। দীর্ঘমেয়াদে আইনি সংস্কার ও অন্যান্য কাজ রাজনৈতিক সরকারই করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দেশের তরুণদের বিপুল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবে তাদের সম্ভাবনা বিশাল। আমরা যদি তাদের প্রযুক্তি, দক্ষতা, শিক্ষা ও আধুনিক কৌশল বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারি, তবে এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে।