
রাজধানীসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত প্রাণ-প্রকৃতি। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।
পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘর থেকে বের হয়ে আচমকা হিম বাতাসের ধাক্কা। কুয়াশায় আচ্ছন্ন গোটা রাজধানী, নেই সূর্যের দেখা। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে ছন্দ হারিয়েছে নগরজীবনে। বৈরি আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা হিমবাহে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় ঘন কুয়াশা থাকবে আরও ৩ থেকে ৪ দিন।
সংস্থাটি আরও বলছে, আগামী কয়েক দিন মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
রাজধানীর বাইরেও জেঁকে বসেছে শীত। কয়েকদিন ধরেই কিশোরগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলায় দুপুর গড়ালেও দেখা মেলেনি সূর্যের। দিনের বেলাতেও যানবাহন চলে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীতের দাপটে হাসপাতালে বেড়েছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ নানা ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।