আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় শক্তি ক্রমেই প্রচণ্ড রূপ নিচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিম উপকূল আঘাত পারে। ঝড়ের এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, থানে, পালঘর, রায়গড় ও রত্নগিরিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টোর্ম তথা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটির বাতাসের গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাটের দরকা উপকূল থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এবং ১৮ কিলোমিটার গতিতে এটি পশ্চিমদিকে এগোচ্ছে।
তবে আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর) ঝড়টি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে পুনরায় বাক নিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আইএমডি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্র উপকূল বরাবর আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার এবং থেকে থেকে তা ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
এই সময়ে সাগর উত্তাল থাকতে পারে। এ কারণে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালানোর ঝুঁকির পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, পূর্ব বিধর্ব এবং উত্তর কোনকানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সেখানকার নিম্নাঞ্চলগুলো বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হতে পারে।
আগামী ৬ অক্টোবরের পর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেলেও এটার প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানকার মানুষকে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যদিও মহারাষ্ট্রে এর সরাসরি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, গুজরাটের কিছু অংশেও আবহাওয়ার ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় শক্তির মূল অংশ গুজরাটের উপকূল থেকে দূরে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও আইএমডি ৮ অক্টোবর দ্বারকা, জামনগর, পোরবন্দর, সুরাট, নভসারি, ভালসাদ, দমন ও দাদরা নগর হাভেলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে।