মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির প্রধান ও খ্যাতনামা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ককে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সেবা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।
সপ্তাহ খানেক আগে ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু নিয়ে কথা হয় তাদের।
এরপর গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাস্ককে একটি চিঠিতে লেখেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই চিঠিতে মাস্ককে বাংলাদেশে দ্রুত স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সেবা চালু ও তাকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।
চিঠিতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সেবা চালুর আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উন্নত এই প্রযুক্তি প্রধান উপকারভোগী হবেন বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা।
মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন, উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য এবং আমাদের পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা একসাথে কাজ করি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামোতে স্টারলিঙ্কের সংযোগকে একীভূত করার ফলে রূপান্তরমূলক প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে বাংলাদেশের যুব উদ্যোক্তা সমাজ, গ্রামীণ ও দুর্বল নারী এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের ওপর।’
বাংলাদেশে যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সে সময় মাস্ক ড. ইউনূসকে জানান, বাংলাদেশের গ্রামীণ ও পিছিয়ে থাকা নারী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে স্টারলিঙ্ক।
পাশাপাশি অল্প খরচে উচ্চগতির ইন্টারনেট বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উন্নয়ন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন টেসলা প্রধান। স্টারলিঙ্ক নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূসও। ইলন মাস্ককে বাংলাদেশে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানান তিনি। তাতে ইতিবাচক জবাব দেন মাস্ক। এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি অপেক্ষায় আছি।’