
ইতালিতে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা। তাদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট, সব ধরনের সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার রেজিস্ট্রেশনসহ সবকিছুর জন্যই যেতে হয় রোম দূতাবাস অথবা মিলান কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে। সেবার মান বৃদ্ধিতে বর্তমানে মিলান বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস নিয়েছে বেশকিছু সিদ্ধান্ত।
১৯৭৪ সালে ইতালির রাজধানী রোমে প্রথম বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপিত হয়। ২০০০ সালের দিকে বাড়তে থাকে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা। ২০১০ সালে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়ায়। প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার লম্বা উওর থেকে দক্ষিণ ইতালি।
প্রবাসীদের জন্য দূতাবাস সেবা সহজ করতে ২০১১ সালে উত্তর ইতালির ১০টি প্রদেশের জন্য মিলান শহরে মিলান বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস চালু করা হয়। সেসময় উত্তর ইতালিতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করলেও, বর্তমানে দুই লাখের বেশি প্রবাসীর বসবাস।
দূতাবাস সেবা সহজ করতে মিলান কন্স্যুলেট অফিসে খোলা হয়েছে হেল্প ডেক্স ও তথ্য সেবা কেন্দ্র। এছাড়া বুধ ও বৃহস্পতিবার দেয়া হচ্ছে এনআইডি কার্ডের বিশেষ সুবিধা, নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সহযোগিতা এবং দূরবর্তী শহরে ভ্রাম্যমাণ দূতাবাস সার্ভিস। এতে সময় ও আর্থিক ভোগান্তি কমেছে প্রবাসীদের।
মিলান বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের কনস্যুলেট রফিকুল আলম জানান, ইতালি প্রবাসীদের সেবার মান বৃদ্ধি ও সময় বাঁচাতে, কাজ করছে তার অফিস।
প্রতিদিন শত শত প্রবাসী মিলান কনস্যুলেট জেনারেল অফিস থেকে সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। বর্তমান সময়ে মিলান কনস্যুলেট জেনারেল অফিস কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপে খুশি উত্তর ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।