বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দূতাবাস থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের ভিসা আবেদনগুলো যাতে তারা আরও দক্ষতার সাথে এবং আরেকটু সহজভাবে জমা দিতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অনলাইন আবেদন
নতুন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আবেদনকারীদের অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। এ জন্য চাইনিজ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সার্ভিস সেন্টারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য অপেক্ষা
আবেদন জমা দেয়ার পর প্রাথমিক পর্যালোচনার ফলাফল ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে। যদি ফলাফলে ‘সংশোধন’ বা ‘পরিপূরক নথি’ সরবরাহের কথা উল্লেখ থাকে, তবে তা দ্রুত সংশোধন বা আপডেট করে জমা দিয়ে পুনরায় আবেদন করতে হবে। এছাড়া যদি ‘ভিডিও সাক্ষাৎকারের সময়সূচি’ আসে, তবে আবেদনকারীকে নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
পাসপোর্ট জমা দেয়া
যদি প্রাথমিক পর্যালোচনায় অনলাইন পর্যালোচনা সম্পন্ন হয়েছে দেখানো হয়, তাহলে আবেদনটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। আবেদনকারী বা তাদের প্রতিনিধিকে তারপর পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে, বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন আঙুলের ছাপ) প্রদান করতে হবে এবং ভিসা আবেদন পরিষেবা কেন্দ্রে ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ বছরের কম বয়সী বা ৭০ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীদের, যারা গত পাঁচ বছরে একই পাসপোর্টের আঙুলের ছাপ দিয়েছেন, যারা দশ আঙুলের সব আঙুলের ছাপ দিতে অক্ষম তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না।
ভিসা সংগ্রহ
আবেদনকারীরা পিকআপ ফর্মে উল্লেখিত প্রত্যাশিত তারিখে তাদের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। সাধারণত, ভিসা নির্দিষ্ট তারিখে সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত থাকে।
প্রক্রিয়াকরণের সময়
প্রাথমিক পর্যালোচনার ফলাফল সাধারণত অনলাইনে সফলভাবে জমা দেয়ার এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়। ভিসা সেন্টারে পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর, নিয়মিত প্রক্রিয়াকরণের জন্য সাধারণত চার কার্যদিবস সময় লাগে, যেখানে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের জন্য তিন কার্যদিবসের প্রয়োজন হয়।