
চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় রেলওয়ের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) একটি তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার পর প্রায় ৪০ হাজার লিটার ডিজেল পড়ে গেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে স্থানীয়রা খালের মাছ ও পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি কমিয়ে আনতে সরকারকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন।
জানা গেছে, ট্রেনটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থিত একটি তেল কোম্পানির ডিপো থেকে তেল লোড করে ইয়ার্ডে আসছিল। ইয়ার্ডে ঢোকার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
এ ঘটনায় কারো অবহেলা আছে কি না, তা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি ওয়াগন উদ্ধার করা হলেও বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান বয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওয়াগন থেকে ঝরে পড়েছে এই জ্বালানি তেল, যা রেললাইন ও ড্রেন হয়ে খালের পানিতে পড়েছে।
পদ্মা-মেঘনা ও যমুনার ডিপো থেকে ওয়াগনে তেল লোড করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় ট্রেনটি। কিন্তু ওয়ার্ডে ঢোকার সময় চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় ১৬টি ওয়াগনের মধ্যে তিনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। প্রতিটি ওয়াগনে ছিল ৩০ হাজার লিটার করে ডিজেল। এর মধ্যে একটির সম্পূর্ণ এবং বাকি দুটিরও কিছু ডিজেল ওয়াগন থেকে পড়ে গেছে। এতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার লিটার ডিজেল ড্রেন হয়ে খালের পানিতে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দুর্ঘটনার ওপর কারও হাত নেই। তবে খালের পানিতে পড়ে যাওয়া তেলের জন্য মাছের সমস্যা হবে বলে মনে করছেন তারা।
দুর্ঘটনার কারণ বের করতে এরই মধ্যে তিন সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে। বিকল্প লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, নদীর পানি ও প্রাণিদের জন্য ক্ষতিকর এই জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।