
কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে সেন্ট মার্টিনগামী ‘দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ’ নামের একটি জাহাজে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাজের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় ক্রুসহ জাহাজের ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মৃত নুর কামাল (৩৫) ওই জাহাজের কর্মচারী ছিলেন এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় একটি কক্ষে তিনি ঘুমন্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, আজ সকালে যাত্রী পরিবহনের জন্য ঘাটে নোঙর করার আগমুহূর্তে জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এ সময় নদীর মোহনায় দাও দাও করে জ্বলতে থাকে জাহাজটি। এ ঘটনায় জাহাজের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়। আর ট্রলার ও স্পিডবোটে করে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জাহাজের ক্রুসহ ১৫ জনকে।
এদিকে, এ প্রতিবেদন লেখার সময় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো অগ্নি নির্বাপণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও কোস্টগার্ডসহ প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক টিম।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, জাহাজের এক কর্মচারীর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যিনি একটি কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন। আর কেউ আছেন কিনা খোঁজা হচ্ছে, আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
সি ক্রুজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ১৯৪ জন পর্যটকের আজ এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল। সৌভাগ্যবশত কেউ জাহাজে উঠেননি, ঘাটে অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের একটি অংশকে অন্য জাহাজে করে ধারণ ক্ষমতা অনুপাতে সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আগামীকাল যাবেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা অন্য কোন কারণে আগুন লেগেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে আগুনের ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজে আগুন লাগার কারণ জানতে ৫ সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিকেলে জাহাজ মালিকদের সঙ্গে সভার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়, ১২টি নির্দেশনা মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক পরিবহনের জন্য ৬টি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়েছে।